নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা মো. আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ইতিমধ্যে তিনি কাশিপুর হাটখোলা নলুয়া রোড এলাকায় আতঙ্কে পরিনত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি, মাজারের টাকা আত্মসাত সহ চেকডিজঅনার মালাহ একাধিক মামলা রয়েছে। ওই এলাকায় তাকে ভূমিদস্যু হিসেবে সকলে চিনে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। ৬মাস আগে চাদাঁবাজি মামলার আসামি মো. আমিন জেল খাটেন। তার বিরুদ্ধে নানা অমকর্ম অভিযোগ রয়েছে। কাশিপুরের হাটখোলাবাসি তার অত্যাচার থেকে পরিত্রান চায়। মঙ্গলবার বিকেলে কাশিপুর হাটখোলায় এক প্রতিবাদ সভায় এ দাবী তুলেন।
কাশিপুরের একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমিনকে হাটখোলার মানুষ ভূমিদস্যু হিসেবে চিনে। একই সাথে তিনি এই এলাকার মানুষের মাঝে জায়গা জমি নিয়ে একে অপরের মাঝে দন্দ তৈরী করে রাখে। তার বিভিন্ন অপরাধের কারনে তাকে সমাজ থেকে বহিস্কার করা হয়। মানষুকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা খায়। অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দেয় নানা অপকর্মের অপরাধী এই আমিন। আমার তার কঠিন স্বাস্তি চাই। হাটখোলার মানুষ এই সন্ত্রাস নামের চাদাঁবাজি মামলার আসামি আমিনের শাস্তির দাবী জানান।
খোজ নিয়ে জানাযায়, এই আমিনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সনে ফতুল্লা মডেল থানায় চাদাঁবাজির অভিযোগে এনে মামলা করেন কাশিপুরের বাসিন্দা নেয়ামত উল্লাহ। যার মামলা নম্বর ৩৬ (৯)/১৪। ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩৮৫/৫০৬ ধারা তার বিরুদ্ধে এই মামলা রুজুয় করা হয়। অপর দিকে বাটা কোম্পানি মাজার কমিটির ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের কারনে তার বিরুদ্ধে মাজার কমিটির সভাপতি শফিকুল্লাহ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ২য় আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ১৯৪১৮। ২০২১ সনের শুরুর দিকে ২০ লক্ষ টাকার চেকডিজঅনার সিআর মামলা করেন কাশিপুর হাটখোলার বাসিন্দা মাসুম। যার মামলা নম্বর ৩১৮/২০২১। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন,আমিন এক্জন বাটপার প্রকৃতির লোক। মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে বিভিন্ন ছলছাতুরি করে। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আমি তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা পাই তা এই দিচ্ছি দিবো বলে না না তালবাহানা করেন তিনি। আমি যেন আমার টাকা ফেরত পাই প্রশাসনের কাছে এই সহযোগিতা কামনা করি। আমরা তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী জানাই। তার অত্যাচার থেকে মানুষ স্বস্তি চায়।