সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সে মতে একটা সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। সেটা অতীতেও কয়েকবার হয়েছে। মহামারি কভিডের কারণে এখন নতুন আইন করে ইসি গঠনের সুযোগ নেই।
যদিও সার্চ কমিটির গেজেট আইন নয়, কিন্তু আইনের কাছাকাছি। দাবি যতই উঠুক, এই অল্প সময়ের মধ্যে এখন নতুন আইন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের সুযোগ নেই। তাই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন করা হবে। বিকল্প উপায় ভাবারও সুযোগ নেই। আমার জানামতে, এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত হলো নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই হবে। সার্চ কমিটিও একটি আইনি প্রক্রিয়া।
আগে যেটা করা হয়েছে, সেটাতে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সম্মতি ছিল। এখন সেখান থেকে সরে যাওয়ার কারণটা বুঝলাম না। আগে যেভাবে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে তাদের সম্মতি ছিল, সবাই রাজি হওয়ার পরেই সার্চ কমিটির গেজেট হয়েছিল। তারপরও এই সার্চ কমিটি দ্বারা কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করা হয়েছিল এবং ইসি গঠন করা হয়েছিল। এখন অহেতুক কেন এই দাবি উঠছে, আমি বুঝতে পারছি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিস্কার বলে দিয়েছেন, এবারের নির্বাচন কমিশন গঠন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই হবে।
ইসি গঠন নিয়ে যে আইনের কথা সংবিধানে বলা আছে, তা আমরা করব না- বলছি না। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং এই ইসির মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে এই অল্প সময়ে এখন আইন করে ইসি গঠন করা সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদি সময় হলে অবশ্যই আইন করা হবে।