আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে
১৮ নং ওয়ার্ড কাচারীগলির মুরুব্বিদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় মরহুম রফিক কমিশনার এর ভাতিজা আমিনুল ইসলাম লিপুকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে জনসমর্থন জানান এলাকাবাসী।
শুক্রবার ( ১৯ নভেম্বর ) বাদ এশা নিতাইগঞ্জ
বি.কে রোড – দাস পাড়া জমিদারী কাচারীগলি সাবেক কমিশনার প্রয়াত রফিকুল ইসলাম রফিক এর সহধর্মিণী মোসাম্মত নুরুন্নাহার ও মোঃ লুৎফর রহমান খোকন এর আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রয়াত রফিক কমিশনার সহধর্মিণী নুরুন্নাহার বলেন,আমার স্বামী রফিক কমিশনার যেমন জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে।আমার সন্তান লিপু তার চাচার মত জনগণের মন জয় করতে পারবে এটা আমার বিশ্বাস।
সভায় প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোঃ শহিদুর রহমান (বাঙালী) সভাপতিত্বের বক্তব্যে বলেন,আমি ছাত্রলীগ করেছি,স্বাধীনতা ও ছাত্র আন্দোলনে আমার ভূমিকা ছিল ভালো এবং আমার সম্বন্ধে যারা বলতে পারতো তারা বেশিরভাগই নেই। আমি লিপুকে সমাজকর্মী হিসেবে সমাজের কাজ করার জন্য দাড়করিয়েছি। লিপু আমার সন্তান। এই লিপু কে দিয়ে আমি নাসিম ওসমানের নির্বাচন করিয়েছি। তিনি বেচে থাকলে আজ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতো। আমি মেয়র আইভীর নির্বাচন করেছি। মেয়র আইভী কোন গুন্ডাকে টাকা দিয়ে নির্বাচন করেন নাই। যারা হুন্ডা -গুন্ডা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নির্বাচন করে তারা নির্বাচিত হয়ে তাদের লক্ষ, কোটি খরচের টাকা তুলতে ব্যস্তত হয়ে উঠে। এতো টাকা তুলতে গিয়ে তারা কিভাবে উন্নয়ন করবে! তারা উন্নয়ন করবে না খরচের টাকা তুলবে।
শহিদ বাঙালী আরোও বলেন, আমি চাই লিপুকে। আলী আহম্মেদ চুনকা সাহেবকে বলেছিলাম আপনি রফিক কে দেন রফিক ভালো কাজ করবে। এই রফিক কমিশনার জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছে।সে ন্যায়ের পক্ষে ছিল, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতনা।তার মৃত্যুর আগ পর্যন্তও জনগণের কথা স্মরণ করেছেন।
তাই আমি মনে করি রফিকের রূপে লিপু কে দেখতে চাই। আমরা লিপুকে কাউন্সিলর হিসেবে পেতে চাই।
এসময় কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লিপু বলেন,এই কাচারীগল্লী কে ১ও ২ য়ে ভাগ করেছে অনেকেই কিন্তু আমি মনে করি ১ও ২ নয় পুরাটাই এক আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নাই যেহেতুক আমরা এক এলাকাই মনে করবো। আমার চাচা রফিক কমিশনার বলেগিয়ে ছিলেন যারা লক্ষ, কোটি টাকা ব্যয় করে নির্বাচন করে তারা সেই ব্যয়ের টাকা উঠানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে। আমরা মেয়র আইভীর ২০১১ সালে নির্বাচন করেছি এলাকাবাসীকে নিয়ে তারা মারধর খেয়েছে কিন্তু আজঅব্দী একটা টাকা চায় নাই সেই কর্মীরা।মেয়র আইভী যদি কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচিত হতো তাহলে নারায়ণগঞ্জ সিটিতে কোন উন্নয়ন হতো না। টাকার ভোটে নয় জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মেয়র আইভী আজ নারায়ণগঞ্জের সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে নগরবাসীর সার্থে তার উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আমার চাচার কথা বাস্তব।
তিনি আরোও বলেন, আমার চাচা কমিশনার থাকা কালে বাড়ি, ঘাড়ি এমনকি একটা ইটও কিনে রেখে যান নাই। আপনারা বলতে পারবেন রফিক কমিশনারের পরিবারের কেহ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী সহ কারো সাথে জুলুম নির্যাতন করেছি আমরা। আমার চাচাকে শহিদনগর, ডিয়ারা, আলামীন নগর এর মানুষ অনেক ভালোবাসতো এখনো তার আদর্শ ও নীতির কারণে এখনও চাচাকে স্মরণ করে সেই সব এলাকারবাসীরা। আপনারা আমার চাচাকেও দেখেছেন তার পরের যারা কমিশনার বা কাউন্সিলর হয়ে এসেছে তাদেরকেও দেখছেন। আমরা গর্ভিত চাচাকে নিয়ে। তাই আপনাদের আরেক রফিক হয়ে থাকতে চাই।এবং আমার ইচ্ছা শহিদনগরে আমার কার্যালয় হবে যা এখনও কেহ ঐ এলাকায় করে নাই।
এলাকাবাসী বলেন, প্রয়াত রফিক কমিশনার প্রতিষ্ঠিত ও জনবান্ধব ব্যাক্তি ছিলেন। তার বাড়িতে কখনও তালা বা দারোয়ান ছিলনা সবার জন্য উন্মক্ত ছিলেন তিনি। তারই রক্ত আমিনুল ইসলাম লিপু আমাদের সন্তানের মত এই ছোট ছেলেটা সাহস করে নির্বাচন করবে। আজকে যুবসমাজ থেকে একজন প্রতিনিধি এসেছে আমরা গর্ভকরে বলতে পারি এই যুবসমাজ আগামীদেনের ভবিষ্যৎ তাই আমাদের পক্ষ থেকে সমর্থন, দোয়া ও শুভকামনা রহিল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন,মোঃ লুৎফর রহমান খোকন, সুইটি আক্তার ফারুক, ১৬,১৭,১৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর
খোদেজা খানম নাছরিন,প্রত্যাশা সমাজ কল্যান সাধারন সম্পাদক সাইদুল হক লিপন, দাস পাড়া পঞ্চায়েত সভাপতি সুশিল দাস, তরুন মেলা ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠনের সভাপতি তৌহিদ হাসান পিয়াল,রতন দাস, বাদল দাস,জাতীয় ফুটবলার মিনহাজ উদ্দিন বাবু, হাজী আনোয়ার হোসেন,মাদব সাহা ( স্যার), হাজী আবদুল করিম,বাবু নরহরি ব্যানার্জি,মোঃ রায়হান। অনুষ্ঠানটি মিঠু চক্রবর্তী সঞ্চালনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ হাসান, মোঃ ডাবলু, মোঃ হানিফ, মোঃ সানোয়ার, মোঃ চানঁ শরীফ,মোঃ বাহাউদ্দিন ( কালু), হাজী আনান হোসেন,
মোঃ শাকিল,মোঃ হাসিব, নিপু মন্ডল, বিশু সাহা,বিশু কর্মকার, আল আমিন, ফাহিম, রাসেল,বায়জিদ,আকাশ,সোয়ান, কিরনী রানী ও হিন্দু সম্পদায়ের মহিলা পুরুষসহ স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।