আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে তফসিল পর থেকে ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা গণসংযোগে যেখানেই যাচ্ছে তার সালাম দেওয়ার সাথে সাথে বাড়ি ঘর থেকে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা মত দিনাকে দেখতে বেরোচ্ছে নারী-পুরুষ নেমেছে মহিলাদের ঢল। তাই ওয়ার্ডবাসীর কাউন্সিলর নয় কর্মচারী হিসেবে থাকতে চান সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা।
সিদ্ধিরগঞ্জ ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায় পুরুষ কাউন্সিলর থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা।
ওয়ার্ড গুলাতে লোকজনের সাথে কথা ছলে তারা জানান আমাদের ওয়ার্ডে দিনার কোন বিকল্প নাই! কারণ জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন হাঁড়িতে ভাতের দানা অনেকই থাকে তার মধ্যে একটা টিপ দিলে বোঝা যায় হইছে কি না। এই মহিলা তার পরিবারকে বিসর্জন মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস কালিন দিনমজুর, হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের প্রতি যা করেছে তা কোন কাউন্সিলরকে দেখি নাই।
তারা আরোও বলেন এই দিনা একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সাপ,জোঁকের পরোয়া না করে রোধ, বৃষ্টিকে উপক্ষা করে তার নিজ কাধে বস্তা বহনের মাধ্যমে সবার আগে নিজ অর্থয়ানে সাহায্য সহযোগীতা পৌছিয়েছেন তা ভুলার মত নয়।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল আয়েশা আক্তার দিনা বলেন, ২০০৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিজয় হয়ে কমিশনার হই। ২০১৬ সালে নাসিক নির্বাচনে আমার অধীনে থাকা তিনটি ওয়ার্ডেও নির্বাচিত হয়ে কাউন্সিলর হই। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তারা আমাকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য রায় দিয়েছে। তাদের রায়কে আমি মূল্যায়ন যদি না করতে পারি তাহলে কিসের জনপ্রতিনিধি হলাম। তিনটি ওয়ার্ডের জনগণই আমার সব।
কাউন্সিলর দিনা আরোও বলেন, নিজের সাংসারিক কাজকর্ম ফেলে রেখে একজন নারী হয়েও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ওয়ার্ডবাসীর ঘরে ঘরে ছুটে বেড়িয়েছি। আমি অনেক পরিবারকে তিন মাস খাদ্যসহ সাংসারিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েছি ।
বিরুপ প্রতিকুল আবহাওয়া কোনো কিছুতেই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।ডিএনডি এলাকার পানিবন্ধী মানুষের কাছে নিজ কাঁধে বহন করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ সামগ্রী পৌছিয়েছি।আমার সহযোগিতায় প্রসূতি মায়েরা দেখেছে তেদের সন্তানের মুখ। করোনাকালীন মৃত্যুদেহ ঘুসলসহ দাফন কাফন করিয়েছি।