নারায়ণগঞ্জের ১ নং রেলগেট এলাকায় যানজটে দাড়িয়ে থাকা বাসের সাথে ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দশজন। এদের মধ্যে অজ্ঞাত একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতরা হলেন নুরু (৪০), ইব্রাহীম, কাদের মোল্লা (৩৫), মিজান মিয়া (৬৫), মনা আলমগীর, মনির (২৬), ইসমাইল, সুমন, সেলিম( ১২)।
নগরীর অন্যতম ব্যাস্ত সড়ক হওয়ায় এখানে সবসময়ের মতই যানবাহনের চাপ বেশি ছিল বলে জানান প্রত্যাক্ষদর্শীরা। তারা জানান, দুর্ঘটনার সময় রাস্তাটিতে যানজট ছিল ফলে রেলক্রসিংয়ের বেড়াটি নামানো সম্ভব হয়নি। সে কারনেই রেলক্রসিংয়ের ওপর আনন্দ পরিবহনের বাসটি আটকে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় রেললাইনে কোন গেটম্যান ছিলেন না। এসময় ট্রেনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গতিতে চলছিল বলে জানান তারা।
১ নং রেলগেট এই ট্রেনের শেষ স্টেশন ছিল। সংগত কারনেই এসময় ট্রেনটি খুবই ধীরগতিতে চলার কথা। তবে ট্রেনের যাত্রীরা জানান ট্রেনটি ঢাকা থেকেই বেশ দ্রæত গতিতে চালিয়ে আসছিলেন ট্রেনটির চালক। চাষাঢ়া স্টেশন পার হওয়ার পরেও ট্রেনটি বেশ দ্রæত গতিতে চলছিল।
ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আর আরেফীন জানান, আমরা দুর্গটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে এখানে চলে আসি। আসার পরে দেখলাম আনন্দ পরিবহনের একটা গাড়ি রাস্তা ক্রস করার সময় জ্যামে পড়ে। রেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল দেয়ার পরেও বাসটি ভেতরে ঢুকে যায় এবং জ্যামের কারনে আগে-পিছনে যেতে পারেনি, ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তিনি আরও জানান, একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাকে ডাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বেশি আহত যারা তাদের আমরা ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছি। বাকি আহতরা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাদীন আছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের অসতর্কতার কারনেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা যদি সচেতন হই তাহলে এদরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে।
সদর থানার ওসি শাহজামান জানান, এখানে বসের সাথে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ট্রেনের চালককে এখনও পাওয়া যায়নি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।