নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। টনা দুইবার নির্বাচিত হওয়ার পরেও এলাকার তেমন কোন কাজ হয়নি এছাড়াও এলাকায় বেড়েছে সন্ত্রাসী, চাদাবাজি, ছিনতাইয়ের মত ঘটনা। করোনার সময় আক্রান্তদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় আলোচনায়ও এসেছিলেন তিনি।
অক্ষয় কুমার দাসের পরিবার জানান, নিজ এলাকায় ছিইনতাইকারিদের কবলে পরে আহত হওয়ার পর কাউন্সিলরের কাছে গেলে তাকে সাহায্য না করে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেস্টা করেন তিনি। তিনি তার পরিবারকে এ বিষয়ে পুলিশ কিংবা সাংবাদিকদের কিছু না জানানোর নির্দেশ দেন। অসিত বলেন সামনে নির্বাচন, তাই তিনি কোন এসকল বিষয় নিয়ে কোন পক্ষের সাথে ঝামেলায় জড়াতে চাননা।
তিনি আরও জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের হয়েও আমরা তার কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। করোনার সময় কয়েকবার ত্রান সহায়তার জন্য অসিতের কাছে গেলেও কোন রকমের সাহায্য সহযোগীতা করেননি তিনি।
র্যালীবাগান এলাকাবাসী জানান, এই এলাকায় বিগত কয়েক বছরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পরেও টনক নড়েনি এই কাউন্সিলরের। বার বার স্থানীয়রা অভিযোগ জানালেও কোন কর্ণপাত করেননি অসিত বরণ বিশ্বাস।
শুধু ছিনতাই নয় এলাকায় মাদক ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের মে মাসে আরজু নামের এক মহিলাকে প্রান দিতে হয়। স্থানীয়রা জানায় এলাকায় মাদক সমস্যা প্রকট রুপ ধারন করলেও এলাকাবাসীর বার বার অভিযোগ দেয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নেননি তিনি। যার ফলে প্রান দিতে হয় আরজুকে। এলাকায় প্রকাশ্য দিবালকে মাদকের বেচাকিনির ব্যাপারেও এলাকাবাসী বার বার অভিযোগ জানালেও এ বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা নিতে রাজি হননি তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, কখনই পাশে পাওয়া যায়না এই কাউন্সিলরকে। তার বিরুদ্ধে নিরব চাদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের দোকান-ফ্লাট ব্যবস্থাপনা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
তারা জানান, প্রতিবার হিন্দু হওয়ায় হিন্দুদের ভোট পেয়ে পাস করে আসলেও এবার হিন্দুরা তাকে একচেটিয়া ভোট দিবে না বলে জানা যায়। এলাকার মানুষ এখন অনেক স্মার্ট। তারা আগের মত বোকা না।
করোনার সময় সরকারি ত্রান ও তহবিলের টাকা বন্টনেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।