নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এবারের নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বেশ গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।
আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাসিক নির্বাচন। আগামী শুক্রবার ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচার প্রচারনার সময়। প্রার্থীরা ব্যাস্ত সময় পার করছেন গণসংযোগে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন তারা। ভোটের এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি থাকলেও ইতিমধ্যেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার ১৫ নং ওয়ার্ডে সরেজমিনে ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বর্তমান কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস ঝুড়ি মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। গত দুই মেয়াদে ওয়ার্ডে বিভিন্ন রকমের কাজ করেছেন দাবী করলেও অসিতকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য কাজ করলেও সামাজিক সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। করোনার সময় ওয়ার্ডের জনসাধারণের কোন অসুবিধায় এগিয়ে আসেননি তিনি। কাউন্সিলরের কাছে গেলেও তাদের সাহায্য না করে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেস্টা করেন তিনি।এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদ কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। করোনার সময় কয়েকবার ত্রান সহায়তার জন্য অসিতের কাছে গেলেও কোন রকমের সাহায্য সহযোগীতা করেননি তিনি।
১৫ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি মার্কা নিয়ে মাঠে রয়েছেন মাকসুদ হোসেন রকি। নির্বাচনী মাঠে তার সরব উপস্থিতি থাকলেও অবাঙালী হওয়ায় ভোটারদের তেমন সারা পাচ্ছেন না এই প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে ভোটারদের মাঝে টাকা বিলি করার অভিযোগ রয়েছে। এবং নেতাদের কাছে দৌড় ঝাপ করছেন।
অন্যদিকে লাটিম মার্কার প্রার্থী জি এম আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নির্বাচনে ভরাডুবি আচ করতে পেরে ভোটারদের কাছে না গিয়ে দলের উপরের মহলে তদবিরের মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার আশায় আছেন।
এদিকে একই ওয়ার্ডে নতুন মুখ ব্যাটমিন্টন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খোকন সাহা। নির্বাচনের মাঠে থাকলেও ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। করোনাকালীন ও বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় তাকে না পাওয়ায় তার থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
অন্যদিকে বর্তমান কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ( টি হোসেন ) এর বড় নাতি ও স্বেচ্ছায় মানবসেবক এইচ এম রাসেল। রাসেলের দাবী ১৫ নং ওয়ার্ডের মানুষ এবার পরিবর্তনের জন্য ভোট দিবে। স্থানীয়দের মাঝেও করোনাকালীন সময়ে ও বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগীতা করায় নিজের অগ্রণী ভুমিকার কারনে ভোটারদের মাঝে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। এবং বিগত দিনে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক ঘটনা হতে ১৫নং ওয়ার্ডে হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাসেলের সহযোগীতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়ায় এই ধর্মের ভোটাররাও তার দিকে ঝুঁকছে। তাছাড়া টি হোসেনের নাতি এইচ এম রাসেল সকল ধর্মের লোকের প্রতি সহনীয় হওয়ায় তাকে হাত ছাড়া করতে নারাজ ১৫ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা।