জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) প্রয়াত সাংসদ এ.কে.এম শামসুজ্জোহা’র ৩৫’ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে বলেন দলের টিকেট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে দলের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তা আর হবে না বলে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই। তিনি বলেন, দলের টিকেট নিয়েই আজকে চেয়ারম্যান হয়েছেন আর এখন দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন আপনাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না । সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনী ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
রোববার ( ২০ ফেব্রুয়ারি ) বাদ মাগরিব শহরের দুই নং রেলগেইট আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুলকে ইতিমধ্যে দলের সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রে তার বহিস্কারের কাগজ পাঠানো হয়েছে। আর তাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর তাকে চূড়ান্ত বহিস্কারের জন্য আমরা কেন্দ্রে পাঠাবো।
তিনি আরও বলেন, আলীরটেকের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নাকি বলেন নৌকা প্রতীক না নিলে তিনি নাকি আরও বেশি ভোট পেতেন। তিনি এত জনপ্রিয় হলে কেন তিনি নৌকা টিকেটের জন্য আবেদন করলেন। এই জাকির আমাদের না হেফাজতের লোক। তার নাম আমি প্রস্তাব করি নাই। আলীরটেকে কি আওয়ামী লীগের লোকের অভাব পড়ছিলো যে হেফাজত লোক দিয়ে চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র জমা দেন। আর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান নাকি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি মূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি তো আমাদের দলের চেয়ারম্যান নয়। তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে না পারলেও আইনিভাবে আমরা ব্যবস্থা নিব।
এসময়ে প্রয়াত এ.কে.এম শামসুজ্জোহা’র বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ। আলোচনা সভায় বক্তারা প্রয়াত প্রয়াত এ.কে.এম শামসুজ্জোহা’র স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদলের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক নারী সাংসদ এড. হোসনে আরা বাবলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেল, উপ- দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য আমজাদ হোসেন, মো. শহিদুল্লাহ, শামসুজ্জামান ভাষানী, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, আওয়ামী লীগ নেতা এড. সুলতান উদ্দিন নান্নু, এড. কামরুল হাসান, এড. জসিম উদ্দিন, সাবেক সাংসদ মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান এরফান হোসেন দীপ,জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহমেদ বাবুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পনির, সোনাকান্দা ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ।