আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দর পক্ষ থেকে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার খবর সুনে চেয়ারম্যান জাকিরের খাস কর্মী নিজের পদ-পদবী বাচাতে দায়সারা মন্তব্য করে ফেঁসে গেলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস টি আলমগীর।
একটা পত্রিকার সোশ্যাল মিডিয়া ( ফেসবুকে) লাইভে তার বিরুপ মন্তব্যে সর্বস্তরের জনগণের দৃষ্টি গোচর হয়েছে যা নারায়ণগঞ্জ বাসী নিন্দার ঝড় তোলেছে।
আলমঙ্গীর ফেবুক লাইভে এসে বলেন,আমাদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছে নৌকা প্রতীক না পেলে সে অনেক বেশী ভোট পেত।
চেয়ারম্যান জাকিরের বক্তব্য নিন্দা প্রকাশ করে তিনি আরোও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ কি ব্যবস্থা নেয় তারপর আমরা ব্যবস্থা নিব এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও শাস্তির দাবী জানাব।
১১নভেম্বর নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর কোন প্রকার প্রতিবাদ না জানিয়ে নির্বাচনের সময় ফুলের মালা পরিয়ে রংঢং করে এখন তার বিরুদ্ধে আইনির ব্যবস্থার বিষয় কেনো! প্রশ্নের জবাবে জানতে চাওয়া হলে এসটি আলমগীর সংবাদমাধ্যমকে মুঠোফোনে জানান, চেয়ারম্যান বিএনপি, জামায়েত, শিবিরের লোক। তাকে দল নৌকা দিয়েছে তাই কাজ করেছি।
তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তার সাথে চেয়ারম্যান কি দূব্যবহার করেছে তা প্রকাশ করতে থাকেন।
নিরাপত্তারর সার্থে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আলীরটেক ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা জানান, আলমগীরের নিজেরইতো মতের ঠিক নাই। সে কখন কি করতে চায় তা জনগণ জানেন। যার কোন কর্মী নেই সে আবার লেতা। নির্বাচনের সময়তো তার কাছে যাওয়ার জন্য ফুলেরর অভ্যর্থনা ও গলা ফাটিয়ে মিছিল মিটিং করেছে।
প্রসঙ্গত ( ২০ ফেব্রুয়ারি ) বাদ মাগরিব শহরের দুই নং রেলগেইট আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) প্রয়াত সাংসদ এ.কে.এম শামসুজ্জোহা’র ৩৫’ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ তিন চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে সভাপতি ও সেক্রেটারির বলেছেন, দলের টিকেট নিয়েই আজকে চেয়ারম্যান হয়েছেন আর এখন দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন আপনাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না ।