নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন আমলাপাড়ায় গড়ে উঠা একটি সুউচ্চ ভবনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে রাস্তা দখলের অভিযোগ উঠার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও নাসিক ১৩, ১৪, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি। প্রথমে জায়গা ছাড়তে ভবনের মালিক গড়িমসি করলেও পরে কাউন্সিলর বিন্নির হস্তক্ষেপে জায়গা ছাড়তে রাজি হন তিনি।
জানা গেছে আমলাপাড়া কে. সি. নাগ রোডের প্রবেশ মুখে গড়ে উঠা ভবনটির মালিক গুরুদাস সাহা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়। শুরু থেকেই ভবন নির্মাণে রাস্তা ছাড়ার কথা থাকলেও বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে হঠাৎ করেই রাস্তা না ছেড়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে ভবন মালিক। প্রথমে এলাকাবাসীর বাধার পরেও কাজ বন্ধ না হওয়ায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি। এসময় তিনি কাজের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বিষয়টি সমাধানে কথা বলেন৷ এর কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি শিপন সরকার শিখন সেখানে হাজির হয়ে রাস্তা না ছাড়ার হুমকি দিলে উপস্থিত স্থানীয় ভবন মালিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। পরে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে ভবন মালিকের সাথে বিষয়টি সমাধানে কথা বলেন কাউন্সিলর বিন্নি। অতঃপর রাস্তার জায়গা ছেড়ে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ভবনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এবিষয়ে কাউন্সিলর বিন্নি বলেন, ভবন নির্মাণের আগে থেকেই ভবনের মালিকের সাথে রাস্তার জায়গা ছাড়া নিয়ে আমার কথা হয়েছিলো৷ তিনি তখন একাজে রাজিও ছিলেন। কিন্তু আজকে (বুধবার) এলাকার লোকজন ফোন করে বললো তিনি (ভবন মালিক) রাস্তার জায়গা না ছেড়েই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে। আমি ভবন মালিকের সাথে কথা বলার পর তিনি জায়গা ছাড়তে রাজি হন।
তিনি বলেন, এমনিতেই এই রাস্তাটি সরু হওয়ায় এখান দিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে৷ তাই চেষ্টা করছি ভবন মালিকদের সাথে আলোচনা করে রাস্তাটি আরো প্রশস্ত করার। এর পূর্বে এখানে সমবায় ভবন নির্মাণের সময় আমি কর্তৃপক্ষের সাথে রাস্তা ছাড়ার বিষয়ে কথা বলেছিলাম। তারা আমার কথায় সম্মতি দিয়ে জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণ করেছিলেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা না থাকলে আমার এজার পক্ষে এ কাজটি করা সম্ভব নয়।