নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ এক গৃহবধূর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামি বার্মা শীল ট্যাংক লরি ড্রাইভার বাবুল ( চিটাগাংয়া ) বাবুল নামে ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেয়ে ভুক্তভোগীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রাণনাশের হুমকি-দমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
( নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জ ৭নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়ার মৃত মজিদ সারেং এর ছেলে বাবুল’র হুমকীতে নিরাপত্তা হীনতায় পড়ছেন গৃহবধূ।
এ ব্যাপারে সর্বশেষ আশ্রয়স্থান মনে করে নির্যাতিতা মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল ) বিকালে সংবাদমাধ্যমের এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ৪ এপ্রিলে আমি বাড়ির কাজ ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ বাবুল আমার পিছনের এসে দাড়িয়ে বলতে থাকে,’ তুই মামলাটা তোলস নাই কে। তরে যদি এখন মেরে ফেলি চলে যাই এবং তর এক ছেলে মারাগেছে আরেক ছেলেকে হারাবি যদি না মামলা তোলস।
ঐ গৃহবধূ আরোও জানান, বাবুল বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষা আমাদের কথা না সুনলে তোদের নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করবো। তাই ভালো ভালোয় মামলাটা প্রত্যাহার করে নিবি এতে তোদের মঙ্গল হবে। নয়তো টাকার কাছে আদালত, পুলিশ ও উকিলও গোলাম হয়ে যায়। আমাদের কোন ভা— ফালাতে পারবি না। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর কড়াত প্রতীকে ভোট না দেয়ায় একই দরনের হুমকি প্রধান করে।
তাই অসহায় গৃহবধূ জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে দ্রুত ধর্ষক বাবুল গং কে আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি দেওয়ার আহবায়ন জানান।
এবিষয়ে মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহিণীর স্বামী র্দীঘ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেডিকেলে ছিল। সেই সুযোগে খালি বাড়ি পেয়ে ২৫/১ /২০১৯ সালে রাত্র( নয়) টায় সময় বিবাদী নাসিম রেজা (৩০), ইরফান (৩২) উভয় পিতা মহিউদ্দিন বাবুল, মৃত মজিদ সারেং এর ছেলে বাবুল, বাবুল ওরফে চোরা বাবুলের ছেলে রাব্বি (৩২), হামিদ মিস্ত্রির ছেলে সাইফুল(৩৫), রাসেল (৩০), সামসুল হকের ছেলে সজিব সর্ব সাং নয়াপাড়া গোদনাইল সিদ্ধিরগঞ্জ। যার মামলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা নং ৩৯/২০১৯।
মামলায় আরোও উল্লেখ্য করা হয়েছে, স্বামী র্দীঘ দিন চিকিৎসাধীন থাকায় দু:শ্চরিত্রবান লোক হহওয়ায় প্রায়া সময় মজিদ সারেং এর ছেলে বাবুল গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব করে আসছিল। কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে গৃহবধূ প্রতিবাদ করিলে ধর্ষক বাবুল সুযোগ বুজে বাদীনি ঘরে প্রবেশ করে। এবং জোর পূর্বক গৃহবধূকে শরিলের বিভিন্ন স্থানে দরে ধর্ষনের চেষ্টা করিলে গৃহবধূ ডাক চিৎকারে আশে-পাশের লোক আসার আগেই বাবুল চলে যায়।
গৃহবধূ মামলার বিষয়ে জানান ধর্ষনের চেষ্টায় প্রতিবাদ করিলে বাবুল বাহিনীর লোক জন এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে সে মামলা তুলেনিতে পূনরায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রধান করে আছে। এবং কোন থানা পুলিশকে অবহিত করিলি সেটার বিপরিতে ভয়াবহ পরিনিতি ঘটাবে বলে চলিয়া যায়।