স্বাচিপের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ চারিদিক থেকে ঘেরাও করা আছে। যারা হাইওয়ে দিয়ে চলাফেরা করেন তারা জানেন। ওরা আমাদের টার্গেট করে। তাদের কারণে চন্দন শীলের পা নেই, তাদের কারনে খোকন সাহার চোখে পানি, বাদলের মেরুদণ্ড ভাঙা। যারা হুমকি দিতে চান তাদের বলতে চাই সংযত হন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) শহরের লা-ভিস্তা রেস্টুরেন্টে স্বাচিপের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, সেদিন জাতির পিতার কন্যা একটা বক্তব্য দিয়েছেন। আমিও একথা অনেক দিন ধরেই বলছি। অনেকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে, অনেকে নিচ্ছে না। তিনি সেদিন বলেছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর সাথে জড়িত জামাত, বিএনপি, জড়িত কামাল হোসেন, মান্না সাহেবরা কমিউনিস্ট পার্টিসহ আরও অনেকে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই আওয়ামী লীগ এক থাকলে এরা কোন কঠিন বিষয় না। সমস্যা হল ঘরের ভেতরকার খন্দকার মোশতাকের বংশধররা। বঙ্গবন্ধুকে অন্য কেউ মারতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল, তবে দরজা খুলে দিয়েছিল মোশতাকরা। এরা যে কত সক্রিয় তা বোঝা যায় যখন দেখি নারায়ণগঞ্জে ২৬ বছরের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা হুলিয়া প্রাপ্ত হয়। তখন বুঝি মোশতাকরা সক্রিয় আছেন এবং থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা বলেন ঈদের পরে দেখাবেন আন্দোলন কত প্রকার ও কি কি। আমি সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। আপনারা কখন খেলতে নামবেন বলেন। আমরা ছোটবেলার খেলোয়াড়। আমরা তো বলেছি খেলা হবে এবং খেলবো। আমি আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে অনুরোধ জানাই দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল।
তিনি বলেন, আমরা করোনার সময় দেখেছি। এই নারায়ণগঞ্জে এমনও ঘটনা ঘটেছে যে বাবার লাশ ছেলে ধরতে চাইত না, ছেলের লাশ বাবা ধরতে চাইত না। এই বাবুরাইলে আমাদের গিটারিস্ট হীরুর লাশ ঘন্টার পর ঘন্টা পড়েছিল। কেউ এগিয়ে আসেনি, পরে তা উদ্ধার হয়েছে। আমরা দুই ভাই এ্যাম্বুল্যান্সের জন্য দৌঁড়িয়েছি। যতটুকু করা সম্ভব আমাদের সাধ্যের মধ্যে আমি আমার ভাই আমার স্ত্রী ছেলে আমরা করতে চেষ্টা করেছি। আমি দেখেছি ডাক্তারদের শরীর ক্লান্তিতে চলছিল না তবুও তারা হাসপাতালে যাচ্ছে। সেদিন একজন লোক অসহায় হয়েছিল আমি তাদের কাছে নিয়ে গেলাম বলল ঢাকায় পাঠান, আজিজ স্যারের সাথে কথা বললাম। তারপর ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করলাম। চিকিৎসা পাওয়ার পর সে আমাকে টেক্সট করেছে আল্লাহ আপনার ভাল করুক। আমার কাছে এটা পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান কথা। আপনারা তো প্রতিদিনই এমন হাজার হাজার দোয়া পান।