তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনায় যখন সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, আমাদের পার্শবর্তী দেশ শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে ঠিক সেই মুহুর্তে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। অনেকে বলেন শ্রীলঙ্কাকে দেখে আমরা যেন সাবধান হই। শ্রীলঙ্কায় শেখ হাসিনার মত সাহসী দূরদর্শী সৎ নেতৃত্ব নেই বলে আজ তাদের এই অবস্থা।
”দেশে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দূর্নীতির কারণে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেখান থেকে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সারা বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে অনুসরন অনুকরণ করছে।”
রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে নম পার্কে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি শৈশব কৈশর থেকে শামীম ভাইয়ের ভক্ত। তিনি আমাকে বলেছেন নারায়ণগঞ্জের জন্য কিছু করতে। আমি আমাদের সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের কাছে আবেদন করেছিলাম। আপনারা দেখছেন অনেক জেলায় হবার কথা থাকলেও একসাথে হচ্ছেনা কারণ সব জেলায় শামীম ওসমানের মত লোক নেই। শামীম ওসমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা চমৎকার একটি যায়গা পেয়েছি আর এটি করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা বইয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সেখানে ওসমান পরিবারের কথা আমি পড়েছি।
সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই আমাদের বলেছিলেন, একজন ক্ষুদার্ত মানুষকে যদি আহারের জন্য একটি মাছ দেন তাহলে তার এক বেলার খাবার হবে অথচ যদি তাকে মৎস্য শিকার করা শিখিয়ে দেন তাহলে তার সারাজীবনের খাবার হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কেউ তো কখনো এত পরিকল্পনা দেননি উন্নয়নের। দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। তাই আমাদের তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এক সময়ে বাংলাদেশে একটি মোবাইল কোম্পানি ছিল যা বিএনপির একজন মন্ত্রীর মালিকানা ছিল। তখন একটি কোম্পানি থাকায় তখন অনেক বেশি টাকা নেয়া হতো কলচার্জ। পরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে একের পর মোবাইল কোম্পানি আসায় প্রতিযোগিতা শুরু হলে সবকিছুর দাম কমে আসে। ২০০৪ সালে যখন স্যামসাং কোম্পানি বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল তখন বিএনপির হাওয়া ভবনের কু প্রস্তাব দূর্নীতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তারা তখন ফিরে গিয়ে ২০০৭ সালে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করেছিল।
অনুষ্ঠানে প্রথমে এমপি পুত্র অয়ন ওসমানসহ স্থানিয় নেতৃবৃন্দ প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ১৭ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেয়া হয়।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১ জেলা) প্রকল্পের পরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ খান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোল বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা প্রমূখ।