ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। তবে মহাসড়কে এখনো পর্যন্ত কোনো যানজট সৃষ্টি হয় নি। এতে করে কোনো রকমের ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে।
সরেজমিনে মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর, মদনপুর, মোঘরাপাড়া ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক গতিতে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটছে বিভিন্ন যানবাহন। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই।
এদিকে অফিস আদালত ছুটি হওয়ায় গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপও বেড়েছে রয়েছে। এর ফলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তবে এ নিয়ে দীর্ঘ যানজটের শঙ্কা করছেন না হাইওয়ে পুলিশ।
কথা হয় সাগর হোসেন নামে এক যাত্রীর সাথে। তিনি জানান, দুর্ভোগ এড়াতে আমি আগেই পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছি। গতকাল আমার অফিস থেকে ছুটি দেওয়ায় আজ গ্রামের পথে রওনা দিয়েছি। এখনো পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা ভালো দেখলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকসময়ে গ্রামে যেতে পারলেই বাঁচি।
হানিফ পরিবহনের চালক গাজী সোহেল জানান, গতবারের তুলনায় মহাসড়কের এবারের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। মহাসড়কে কোথাও কোনো ভাঙ্গাচোরা না থাকায় আমরা স্বাচ্ছন্দেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নবীর হোসেন বলেন, স্বাভাবিকভাবে এই মহাসড়কে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার গাড়ি চলাচল করলেও গতকাল থেকে এই মহাসড়ক দিয়ে তার চেয়ে বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। আজ থেকে গাড়ির চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুন তিনগুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি নিরসনে প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি হোন্ডা পার্টি, মোবাইল টিম, সাদা পোশাকে পুলিশ থাকছে।