নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ১৯৭৫ পরে অনেকে ধনি ছিলেন কিন্তু শ্রমিকদের পাশে এগিয়ে আসেন নাই। আমাদের বাড়িটা চিত্তরঞ্জন, লক্ষী নারায়ন মিলের শ্রমিকরা মিলে ১ টাকা করে দিয়ে বাড়িটি রক্ষা করেন।
খোকন সাহা ষড়যন্ত্রের কথা বলেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। ২০০১ সনে ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে বোম ব্লাষ্ট হয়েছিল । তখন আমাদের ২০ জন ভাই শহীদ হয়েছে। সেই সাথে আমাদের অনেকে পঙ্গুত্ব হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে এই ষড়যন্ত্রের খেলা খেলছে। খন্দকার মোশতাকেরা এর কলকাঠি নারছেন। আমি শুধু তাদের দেখছি।
তিনি আরোও বলেন, গত কয়েকদিন আগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে মেলে ফেলার জন্য ৫টি ছুরি কাঘাত করা হলো। আল্লাহর রহমতে জনগনের সহযোগিতায় তিনি বেচে গেছেন। পত্রিকায় দেখলাম জুয়েল নামে এক ছেলে ধরা পরার পর সে স্বিকারিক্ত দিল ফতুল্লা শীর্ষ সন্ত্রাসী মিঠুর ছেলে গ্রেপ্তার হলো। তাদের কথা বার্তা জানা গেল বিএনপির এক্স এমপির ছেলে জরিত হয়ে এই মামুনকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) শহরের লা-ভিস্তা রেস্টুরেন্টে জেলা শ্রমিক লীগের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান আরোও বলেন, আমি অভাক হয়ে দেখলাম এই ঘটনায় তৃতীয় পক্ষ জরিত আছে। তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। মামুন মাহমুদ মারা গেলে নারায়ণগঞ্জে আরেকটি ত্বকী হত্যা সাজানো যায়। কিন্তু মামুন মাহমুদ মারা না যাওয়ায় তাদের কপাল খারাপ হলো। মিডিয়ার মাধ্যমে জানলাম এই ঘটনার সাথে জরিতরা বেরিয়ে আসছে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, তার ছেলে সহ ইকবাল। তাদের পিছনে শক্তি যোগান দিচ্ছে। বিএনপিতো বলে তারা নাকি রাস্তায় নামতে পারে না। আমরা জানি এই ঘটনার পিছনে কারা কারা জরিত রয়েছে। কারা খেলছেন তা আমরা ভালো ভাবে জানি। এবং জানি বিধায় খোকন সাহা খন্দকার মোশতাকের কথা বলেছেন। আমি চাই তারা মিটিং মিছিল করুক। সেই সাথে তাদের অবস্থান ক্লিয়ার করুক।
এমপি শামীম ওসমান আরোও বলেন, কয়েক দিন আগে কোথায় কবে একটি কালো মাইক্রোবাস ফতুল্লায় এসে চুপচাপ দেখা করে গেল। আমি কোন সংস্থা বা প্রশাসনের উডর ভরসা করে রাজনীতি করি না। আমার ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণ আমার শক্তি। আমাদের চুপথাকাটা অনেকেই দূর্বলতা ভাবছেন। আমি তাদের বলতে চাই আমরা দায়িত্বশীল চুপ থাকি। একটা রাজাকারের বাচ্চা আছে তিনি কোন এক জায়গায় বললো খোকন সাহার নামে মামলা হলে শামীম ওসমান বলেছিল এই নারায়ণগঞ্জে শুধু মাথা মাথা দেখা যাবে। মাথা দেখা যেতে পারে তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে রমজান মাস সংযমের মাস। সব কিছু মিলিয়ে আমরা কার বিরুদ্ধে কথা বলবো। যারা দলের বিরুদ্ধে কথা বলেন আবার মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে মামলা করে ওয়ারেন্ট ইস্য্ ুকরে সে বিষয়ে আমি সাধারণ মানুষের কাছে ছাড়তে চাই। তারা যে ভাবে আমাকে গালাগালি করে তাহলে তাদের নামে আমার ডেলি ১০ টা করে মামলা করার কথা। কিন্তু আমি করি না। এবং করবোও না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যারা এ গেমটা খেলছেন কিংবা পাকাচ্ছেন, ওই আড়াই হাজার বিএনপির এক নেতা এবং সোনারগাঁয়ের এক অশিক্ষিত নেতার সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ ও নদীর ওই পার বন্দরের নেতার সাথে ঢাকায় বনে মিটিং করছেন।
তিলি বলেন, নারায়ণগঞ্জে অস্থিতিশল সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জকে অন্য কারো নারায়ণগঞ্জ বানাবেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমাদের শ্লোগান খেলা হবে তা সারা পৃথিবীতে চলে গেছে। আমরা জানি কেমনে খেলতে হয়। প্রবলেম টা হচ্ছে আমাদের এখন বয়স হয়ে গেছে। অনেকে এক সেকেন্ডের জন্যও আওয়ামীলীগ না করে অনেকে অনেক কিছু পেয়েছেন। তার পরেও কৃতজ্ঞতা সিকার করেন। নেত্রীর প্রতি আনুগত্য থাকেন। জাতির জনকের কণ্যা কৃষকলীগের মিটিংয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সেই আঙ্গিকে আপনি নারায়ণগঞ্জের মহানগরে মিটিং করবেন করেন। আমি আপনাদের বক্তব্যটা শুনতে চাই এই বক্তব্য কাদের বিরুদ্ধে হয়। জামাত বিএনপি, ওয়ান এলিভেনের বিরুদ্ধে হয় নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্যে হয়। যদি তাদের বিরুদ্ধে তাহলে আমি তাদের স্যালুট জানাই। তাদের কর্মী হিসেবে আমি কাজ করবো। আর যদি তাদের বিরুদ্ধে না হয় তাহলে আমি সরি আপনারা পারবেন না। কারণ আমরা খুব শিগ্রই মাঠে নামছি। শরীরটা এখন অসুস্থ্য আছে দেশের বাহিরে যাবো। তার র্পালামেন্ট আছে সামনে আগষ্ট মাস। আমরা আগষ্টে আগে জুনেই মাঠে নাসবো। এবং আমরা প্রমান করবো জনগণের শক্তির সামনে পৃথিবীন কোন ষড়যন্ত্র টিকে নাই টিকবেও না। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। মৃত্যুর মুখেও বলি আগে শেখ হাসিনাকে বাচান। শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জকে যদি কেউ নষ্ট করতে চায় করা জবাব দেয়া হবে। আর কিছু কথা পার্লামেন্টেও বলবো। লন্ডনের এক নেতা তাদের এমপি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে বক্তব্য দেয়ানো হয়েছে। তাই এর জবাব আমি পার্লামেন্টে দিবো। আর যারা সততার মুখোশ পরে আছেন আমি আর আপনাদের মত না যে খোকন সাহার নামে মামলা করবো। কারণ নিজের দল করি উপরে থুথু ফেললে নিজের উরপর পরে। আমরা চাই সকলে মিলে মিশে কাজ করি। কিন্তু কেউ যদি মুখে বড় বড় কথা বলেন তাহলে মুখোশটা উম্মোচন করে দিবো। আমার প্রমান ছাড়া কোন কথা বলি নাই। কথা বলবোও না। কিন্তু দলের এবং নেত্রীর স্বার্থে চুপ থাকি। ধৈর্য ধারনের চেষ্টা করছি। যদি বেচে থাকি শ্রমিকলীগের ভাইয়েরা রাস্তায় দেখা হবে। কৃষলীগের মিটিংয়ে বার বার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি আরোও বলেন, সারা বিশ্বে এখন ইনভ্যালেন্স পলিটিক্স হচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। যার জন্য বিশ্বের রাজনীতি এখন অনেকাট উলট পালট হচ্ছে। বাংলাদেশে এই সুযোগটা অনেকে নেয়ার চেষ্টা করছে। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হত তাহলে আজকে শামীম ওসমানের, খোকন সাহার রাজনীতি করতে হত না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু না হলে আজকে আমরা জাপানের চেয়ে উন্নত থাকতাম। তাকে হত্যা করে আমাদের স্বপ্ন শেষ করে দেয়া হয়েছে। আমি শামীম ওসমান , খোকন সাহা খারাপ হতে পারি আমাদের সরাইদেন কিন্তু শেখ হাসিনাকে এই দেশের জন্য দরকার। শেখ হাসিনার স্বার্থের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে যে যেখানে যত গোপন মিটিং করছেন এবং যারা পাওয়া হিসেব নিয়ে খেলছেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই সমস্ত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা মাঠে খেলতে নামবো। তখন অপনারা এই খেলার সামনে পাচঁ মিনিটও টিকবেন না। আও যদি বাই এনিচাঞ্জ মাথা গরম হয় তাহলে কিন্তু সময়ও বেশি পাবেন না। আমাদের কোন কমিটির রাজনীতির দরকার নেই। এটার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, মহানগর স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দ।