বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর ( ঈদ) এবং একটি পবিত্র খুশির দিন তাই এই দিনটিতে বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের আনন্দ উল্লাস না করে ঈদ-উল- ফিতরের নামায শেষে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে টানবাজার র্যালীর বাগানবাসী ভালোবাসার টানে বাগান বাসীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে ছুটে গেলেন ১৫ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় মুখ, অসহায় মানুষের বন্ধু, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সংসদের সভাপতি এইচ এম রাসেল।
মঙ্গলবার ( ৩ মে ) নাসিক ১৫ নং ওয়ার্ড টানবাজার র্যালীর বাগানবাসীর সাথে উপহারের মধ্য দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা ও কৌশল বিনিময় করলেন এইচ এম রাসেল।
বাগানবাসী জানান, আমরা হতদরিদ্র হলেও আমাদের তেমন কোন খোজ খবর নেননা কেউ। এই প্রথম এক জন জনদরদি ও গণ বান্ধবকে দেখলাম তার আত্মীয়স্বজন,পরিবার বন্ধুবান্ধবের সাথে ঈদের উৎসব পালন না করে আমাদের সাথে আনন্দ উৎসব করতে এসেছেন। এবং রোজার সময় আমাদের সহয়াতা দিয়েছেন। আমরা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি পাশা পাশি নিয়ে গর্ববোধও করছি। রাসেল ভাইয়ের মত মহত লোক প্রতিটা মায়ের গর্ভে ধারণ হউক সেই দোয়া করছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে তার সামাজিকতা ভাইরাল হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সংসদের সভাপতি এইচ এম রাসেল এই প্রতিবেদককে জানান, ঈদ একটি উৎসব, একটি ইবাদত, একটি পবিত্র খুশির দিন, সাম্য ও সম্প্রীতির চিহ্ন, মোমিন বান্দাদের-হৃদয়ের আনন্দ উৎসব। অসহায়দের প্রতি আমার পরিবারের সদস্যের মত ভালোবাসা রয়েছে।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য হওয়া নাসিক নির্বাচনে ও এর পূর্বেও আমি প্রতিনিয়ত বলেছি আমি রাসেল যত দিন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাকে বেচে রাখবে ততদিন আপনাদের পাশে থাকবো। তার প্রতিশ্রুতিতে গোলাম সারওয়ার মানব কল্যাণ ট্রাস্ট ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সংসদ যত দিন থাকবে ততদিন আমি আপনাদের পাশে সন্তানের মত হয়ে থাকবো।
তিনি আরোও বলেন, অর্থ সম্পদ হলেই যে সে জনদরদি হতে পারে তা নিন্তু নয়। এপর্যায় আসতে হলে সেই ব্যক্তির মন মানসিকতারও প্রয়োজন থাকতে হয়।
কোন নেতা বা জনপ্রতিনিধি আসলো না, সাহায্য দিলো না, তাদের খোজ খবর রাখলো না তা আমার দেখার বিষয় নয়। তাই তাদের মাঝে আমি আত্মমানবতার সেবায় সুখে দুখে সব সময় তাদের পাশে থাকব। মুসলিম সহ সকল ধর্মাবলীদের জানাই ঈদ মোবারক ও ঈদের শুভেচ্ছা।
এসময় জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম সংসদের সভাপতি এইচ এম রাসেল বেশিরভাগ সময় র্যালির বাগান এলাকায় কমলমতি শিশুদের সাথে সময় কাটান।