নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকায় আদমজী শাহী জামে মসজিদে ইমামের বক্তব্য চলাকালে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভারতের ঘটনা ভারতে থাকুক আমরা এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা না করি। এতে মুসুল্লিরা ক্ষুব্দ হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার উপর হামলা করে এবং তাকে গণধোলাই দেন। এসময় আরো দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে উদ্ধার করে মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মাস্টারের বাড়িতে আশ্রয় দিলে সেখানেও উত্তেজিত জনতা হামলা করে। পরে স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথম নগরীর সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখান থেকে ডাক্তাররা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, জুমার নামাজের পর মুসুল্লিরা সেখানে মহানবীকে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে মসজিদে ইমাম বক্তব্য রাখছিলেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে ভারতের বিষয় আসলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ভারতের বিষয় ভারতে থাকুক, এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা আমরা না করি। এ নিয়ে মুসুল্লিরা ক্ষুব্দ হলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার উপর হামলা করে তাকে গণধোলাই দেন মুসুল্লিরা। এসময় তার সাথে আহত হন মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিন। তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
কাউন্সিওর মতিউর রহমান মতি জানান, আমাকে এলাকার লোকজন বিষয়টি অবহিত করার পর আমি ছুটে গিয়ে ওসির সহযোগিতায় পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা মর্মাহত। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।