নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক ও রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক খোকনের বাড়ির সামনে যুবলীগের কার্যালয় নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বুধবার (২২ জুন) এ ঘটনায় গোলাম ফারুক খোকনের বাবা সাবেক চেয়ারম্যান হাজী হাসান আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি আবেদন দিয়েছেন। একই অভিযোগ জেলা প্রশাসক, রূপগঞ্জ থানার ওসি এবং উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ মে খোকনের এ বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুরের অভিযোগ ছিল ক্ষমতাসীন লোকজনদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ২৫ মে জেলা প্রশাসকের কাছে জেলা বিএনপির নেতারা স্মারকলিপি প্রদান করেছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান বরাবর লিখিত অভিযোগে হাসান আলী বলেন, আমার বাড়ির সামনের গেটের জায়গা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ছিলো। পরবর্তীতে সেই জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অধিগ্রহণ করে নেওয়া হয়। সম্প্রতি আমাদের গ্রামের বরকত উল্ল্যাহর ছেলে পাবেল হক কিছু লোকজন নিয়ে সেই জায়গায় ঘর নির্মাণ করছে। তার ঘর তুলতে নিষেধ করলে তারা জানায়, সরকারি জায়গায় আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয় নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে এই জায়গা লিজ নেয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম আমরা। কিন্তু পাউবো জানায়, পানির লাইন স্থাপনের পর বাকি জায়গা লিজ দেয়া হবে।
এমন অবস্থায় আমার বাড়ির সামনে রাজনৈতিক দলের অফিস স্থাপন করা হলে পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনের চলাচলে বাধা তৈরী হবে। একই সাথে যেকোন মুহূর্তে আইন শৃঙ্খলার অবনিত হতে পারে। ইতোপূর্বেই এই গ্রুপটি আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ভবিষ্যতেও কোন না কোন উছিলা তৈরী করে আবারও হামলা চালাতে পারে।
গোলাম ফারুক খোকন বলেন, ২২ মে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার বাড়িতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আমাদের বাড়ির আশেপাশে মহড়া দিচ্ছে। এখন সেখানে তারা যুবলীগের অফিস বানাচ্ছে। ২২ জুন আমাদের লোকজন বাধা দিলে প্রথমে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আবার পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ শুরু হয়।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহানের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।