নারায়ণগঞ্জের বন্দর কেন্দ্রীয় খেয়া ঘাট সংলগ্ন মালামাল পারাপারের ঘাটে ব্যবসায়ীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসী মাসুম অরফে টাকলা মাসুম ও তানজিন রহমান তন্ময়ের নেতৃত্বে বাহিনীটি এই চাঁদাবাজি চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের প্রায় সকলেই বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদের অনুসারী বলে জানা গেছে।
শনিবার (২ জুলাই) সেন্ট্রাল খেয়া ঘাটের পূর্ব পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘাটে বস্তা প্রতি ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে তারা। ঘাটে মালামাল পরিবহনকারী যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে এই চাঁদা আদায় করছে একটি চক্র। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হয় ব্যবসায়ীদের।
খেয়া ঘাটের পশ্চিম পাড়ের বর্তমান ইজারাদারের কর্মকর্তা আদিম জানান, তারা অবৈধ ভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। যাত্রীরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় তাদের মারধর করে চক্রটি। আমাদের লোকজনদেরও তারা মারধর করে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় থেকে দুইজন ব্যবসায়িকে তারা মারধর করেছে টাকার জন্য। পরে র্যাব খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুছালে তারা পালিয়ে যায়।
ঘাটের বর্তমান ইজারাদার এইচ এম রাসেল জানান, গত ১৮ মে ২০২২ তারিখে টেন্ডারের মাধ্যমে লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টটি মামুন আহম্মেদ ইজারা পান। আমি এইচ এম রাসেল ২৫ মে ২০২২ সালে দলিলের মাধ্যমে তার কাছ থেকে স্বত্তাধীকার ক্রয় করি। গত ৩০ জুন রাতে বিআইডাব্লিউটিএ কতৃপক্ষ লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টটি ২০২২-২৩ সালের জন্য নবগঠিত ইজারাধারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান এ ঘাটের ইজারাধার আমি। বৈধ ভাবে এই ঘাট ইজারা নিয়ে চালাচ্ছি। তারা নদীর পূর্ব পাড়ে অবৈধ ভাবে টাকা তুলছে এবং আমার লোকজনদের মারধর করছে সাধারণ অনেক যাত্রীদেরও মারধর করছে। প্রশাসনের কাছে আমি এর বিচার চাই। শান্তি পূর্ণ পরিবেশটাকে অশান্তি করার চেষ্ঠা কারিদেরকে প্রশাসন দ্রুত্ব ব্যবস্থা নিবেন আমি সেই পত্যাশা করছি।
যাত্রীরা জানান,আমরা সবসময় পশ্চিম পাড়ের বটতলা ঘাটে সবসময় টোল দিয়ে থাকি। এখন নদীর পূর্বপাড়ে জোড় করে টাকা নিচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দুই জায়গাতেই টোল দিতে হচ্ছে। এখন আমরা কথায় যাবো। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে নবগঠিত ইজারাধার এইচ এম রাসেল জানান, সদর মডেল থানা ও র্যাব ১১ তে অভিযোগ দাখিলের প্রক্রিয়াধীন চলছে।