নারায়ণগঞ্জ মাছ ঘাটের ইজারা না পেয়ে উৎসব পরিবহনের পরিচালক শহিদুল্লাহ ও তার ভাই আহসান উল্লাহ ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পক্ষপাতিত্ব করে নবগঠিত ইজারাধার শীবলী মাহমুদকে সীমানা বুঝিয়ে না দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ যুগ্ম পরিচালক ( বন্দর)- এর দপ্তর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর শেখ মাসুদ কামাল’র হুমকি।
বর্তমান ইজারাদার শিবলী মাহমুদ জানান, সদর থানাধীন নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাট নং ৪-৫ এর মধ্যবর্তী মাছ ঘাটের শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং ঘাট পয়েন্ট – এর ইজারাদার বিআইডব্লিউটি এর নিকট হইতে গত ইং ১৮/০৫/২০২২ তারিখে এ ঘাট পয়েন্টটি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রাক্কলিত মূল্যের বিপরীতে ৩৮,৫১,০০০ / = ( আটত্রিশ লক্ষ একান্ন হাজার ) টাকা টেন্ডারের মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএ’র একজন বৈধ ইজারাদার আমি।
তিনি আরও বলেন, ঘাটের পরিচালনার জন্য ৩০জুন রাতে খোঁজখবর নিতে আসলে আমি দেখতে পাই, ঘাটের সামনে সাবেক ইজারাদার ও উৎসব পরিবহনের পরিচালক ৪- ৫ মধ্যবর্তী মাছ ঘাটের শুল্ক, লেবার হ্যান্ডলিং ঘাট পয়েন্টে থেকে ধরে সাড়ঘাট ও
ইস্পাহানি ঘাট সংলগ্নে উৎসব পরিবহন দিয়ে এলোমেলো ভাবে (বাস গাড়ি)রেখে প্রতিবন্ধকতা করে রেখেছে এবং মাছের গাড়ি আড়ৎ পর্যন্ত ঢুকতে পারছেনা ফলে মাছের গাড়ি ফেরত যাচ্ছে। খোজ নিয়ে জানতে পারি ৭ ইজারাদার ও উৎসব পরিবহনের পরিচালক শহিদুল্লাহ ও তার ভাই আহসান উল্লাহ এঘাটের ইজারা না পেয়ে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এছাড়া বর্তমানে অবৈধ ৪২৯ নামক ঘাট তাদের বলে দাবীকরে সেখানে তাদের লোকবল দিয়ে মাছে খাড়ি বসিয়ে শান্ত পরিবেশটাকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। তাদের সাথে নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালও জড়িত রয়েছে।
এবিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে বন্দর ও পরিবহন বিভাগ , বিআইডব্লিউটিএ , ঢাকা অফিস ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শীবলী মাহমুদ আরও জানান, ৭ জুলাই নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বন্দর)- এর দপ্তর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল’র কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উচ্চ বাক্য কথা বলেন। এবং উৎসব পরিবহনের পরিচালক শহিদুল্লাহ বিরুদ্ধে কোন কথা সুনতে নারাজ বলে সাব জানিয়েদেন। এছাড়াওইজারাদার শীবলী মাহমুদকে বলেন আপনি থানায় অভিযোগ করে ও মতিঝিল হেড অফিসে গিয়ে ঘুড়াঘুড়ি করে কোন লাব হবেনা। পরে এঘাট প্রকাশ্যে ছেড়ে দিতে বলেন তা ২৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের রেকডিংও আছে আমাদের কাছে। তাছাড়া পোর্ট অফিছারের শেখ মাসুদ কামাল সাড় ঘাটের চার বছর যাবত কোন টেন্ডার হত না। লোক মাধ্যমে লক্ষ টাকাও দাবী করেন যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল।
নারায়ণগঞ্জ নদী ও বন্দর যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল’র বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদেরও রয়েছে অঢেল অভিযোগ।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক,নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা জানান, আমরা তার অধীনস্থ কর্মচারী, বলতে গেলে চাকরি থাকবে না।
গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অসামাজিক ও অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত তিনি। তাই তার কথা এলো মেলো। নেশাগ্রস্ত থাকতেন বলে প্রথম স্ত্রী চলে যান। এছাড়া পকেট ভাড়ি করার মত ইজারাদার না পেলে একটি ঘাটকে অনেকবার টেন্ডার করান তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নারায়ণগঞ্জ নদী ও বন্দর (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালকে একাধীক বার তার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেন নাই।