নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর ( বিআইডব্লিউটিএ ) ৪ ও ৫ নং মধ্যবিত্ত মাছ ঘাট নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির মূল কারিগর কে! নিয়মনীতি না থাকা সত্ত্বেও অবৈধ পন্থায় কাঁটাতারের বেরিকেড দিয়ে ৪ টু ৯ ঘাট পরিচয়ের মাধ্যমে উৎসব পরিবহনের পরিচালক শহিদুল্লাহ ও তার ভাই আহসান উল্লাহ’র দখলদারিত্বের অভিযোগ উঠেছে।৩নং মাছ ঘাটের খুদ্র ও আড়ৎদার মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাস্তব প্রমাণও মিলেছে। এবং নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল আহসান উল্লাহকে সহয়াতার করারও মিল পাওয়া গিয়েছে বলে জানান খুদ্র মাছ বিক্রেতারা।
খুদ্র মাছ ব্যবসায়ী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন নদী বন্দর নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাট নং ৪-৫ এর মধ্যবর্তী মাছ ঘাটের শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং ঘাট পয়েন্ট বিআইডব্লিউটি এর নিকট হইতে গত ইং ১৮/০৫/২০২২ তারিখে এ ঘাট পয়েন্টটি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বর্তমান ইজারাদার শিবলী মাহমুদ।
তারা আরও বলেন,আমরা আগের ইজারাদারের নিকট থেকে অনেক নির্যাতিত নিপীড়িত ছিলাম। বর্তমানে আমরা শান্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছি।
বর্তমান ইজারাদার শিবলী মাহমুদকে এঘাট সঠিক সিমানা বুঝিয়ে না দিয়ে নদী ও বন্দর বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অতি উৎসাহিত হয়ে সাবেক মাছ ঘাটের ইজারাদার উৎসব পরিবহনের পরিচালক শহিদুল্লাহ ও তার ভাই আহসান উল্লাহ’র প্রকাশ্যে পক্ষপাতিত্বের ঘটনায় দুর্ভোগ চরমে।
শীবলী মাহমুদ জানান, আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বর্তমান ইজারাদার। সীমানা বুঝিয়ে না দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ যুগ্ম পরিচালক ( বন্দর)- এর দপ্তর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর শেখ মাসুদ কামাল উৎসব পরিবহনের পরিচালক শহিদুল্লাহ ও তার ভাই আহসান উল্লাহ’র সাথে গভীর সখ্য তার কারণে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে এবং শেখ মাসুদ কামালকে দিয়ে বিভিন্ন সময় হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
ইজারাদার আরও বলেন, বন্দর নৌ-যান পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল আমাকে সীমানা বুঝিয়ে না দিয়ে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। যা একজন পোর্ট অফিসারে কাছ থেকে আশা করা যায় না। বর্তমানে তার দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যায় জনমতে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছেন। যা সভ্য সমাজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পক্ষে কোনভাবেই কাম্য নয়। তার এরকম কর্ম কান্ডে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শীবলী আরও বলেন, আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য উৎসব পরিবহনের পরিচালক শহিদুল্লাহ ও তার ভাই আহসান উল্লাহ প্রতিনিয়ত কোনো না কোন ভাবে ক্ষতি করছে। এবং আমার ঘাটকে কাঁটাতারের ভেড়া দিয়ে তাদের সীমানা বলে দাবী করছে। অভিযোগের মাধ্যমে সদর থানার হস্তক্ষেপে বন্ধ ঐ কয়দিন উৎসব পরিবহনের ( বাস ) রাখা বন্ধ থাকলেও পুনরায় আবার বাস রাখা চালু করেন এবং এসড়কে উৎসব পরিবহনের ওর্য়াকসপ না থাকা সত্ত্বেও তারা এখানে অবৈধ ভাবে পানির পাম্প বসিয়ে গাড়ী পরিষ্কারের কাজও করেন। তা বন্দর নৌ-যান ( বিআইডব্লিউটিএ ) কর্তৃপক্ষের নজরে আসে না কোনদিন।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নদী ও বন্দর (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালকে একাধীক বার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে রিসিভ না করে পরিশেষে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।