কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ২০১৪ সালে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি হয়েছে। এখন তাদের দিকে তাকিয়ে হাসলেই তারা বুঝে যায় জনগণ সব জেনে গেছে। এছাড়াও ২০১৮ সালে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে রাতের আধারে ভোটচুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামীলীগ সরকারের দুই কান কাটা তাই তাদের লজ্জা শরম নাই। এখন কথা কথায় মিথ্যা বলে।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা দেশ ছেড়ে পালাবে। কারন যে সরকার দেশের মানুষের খাবার দিতে পারে না, ইজ্জত রক্ষা করতে ব্যর্থ, মুসলমানদের সাথে তামাশা করে আর যাই হউক তারা ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখেনা। মনে রাখবেন, এক সাগর তাজা রক্তের বিনিময়ে গড়া বাংলাদেশ। এই দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রয়োজনে আবারো একটি যুদ্ধ হবে। কিন্তু সরকারের আর কোন অবৈধ কর্মকান্ড মেনে নিবোনা।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ২টায় চাষাড়া শহীদ মিনারে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানবক্তা হিসেবে এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশে গুম, খুন, মামলা, হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি। মানুষের ভোটাধিকার হরন করে নিয়েছে। দেশে এখন লুটের রাজনীতি চলছে। তাই তো দেশে বর্তমান বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার কারনে জনগণ এর ভোগান্তিতে পরেছে। অচিরেই দেশের মাটিতে এই অন্যায়ের বিচার হবে।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এই বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহম্মেদ টিটু, সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নুরউদ্দিন আহমেদ, হাজী ফারুক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মতিন,
যুব বিষয়ক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন শোখন, হান্নান সরকার, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক এ্যাড. আনোয়ার প্রধান, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস.এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, মহানগর বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক।