নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার সস্তাপুরে মাদক ব্যবসায়ী বাদল গংরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।এ ব্যাপারে মোসাঃ আখি ( ৩৬ ) স্বামী নজরুল ইসলাম , সাং- সস্তাপুর , গাবতলা , থানা- ফতুল্লা , জেলা- নারায়ণগঞ্জ এসপি, ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ হুবহু তুলে ধরা হলোঃ বিবাদী ১। বাদল ( ৩২ ) , ২। মাসুদ ( ৩৫ ) , উভয় পিতা- শফি মিয়া , সাং- সন্তাপুর গাবতলা , ৩। সাব্বির ( ১৯ ) , পিতা- শাহীন , ৪। রিফাত ১৮ ) , পিতা- মজনু , ৫। মিতুঞ্জয় ( ২২ ) , পিতা- রমেশ বাবু , সর্ব সাং দক্ষিন সপ্তাপুর , ৬। হৃদয় ( ২০ ) , পিতা- অজ্ঞাত , ৭। হাবিব ( ২২ ) , পিতা- অজ্ঞাত , ৮। নিশাদ ( ১৯ ) , পিতা- অজ্ঞাত , ৯। সাজিদ ( ২২ ) , পিতা- অজ্ঞাত , ১০। আসিফ ( ২১ ) , পিতা- অজ্ঞাত , সর্ব সাং- ইসদাইর বুড়ির দোকান সংলগ্ন , সর্ব থানা- ফতুল্লা , জেলা- নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে , উল্লেখিত বিবাদীগণ এলাকার সন্ত্রাসী এবং খারাপ প্রকৃতির লোক । উক্ত ১ ও ২ নং বিবাদীদ্বয়ের নির্দেশে অন্যান্য বিবাদীগণ এলাকায় মাদক বিক্রয় সহ মাদক সেবন করিয়া থাকে রাস্তা দিয়া চলাচলরত পথাচারীদের বিনা কারণে আটক করিয়া টাকা পয়সা দাবী করে । টাকা পয়সা না দিলে তাহাদের মারধর করিয়া নীলা ফোলা জখম করে । আমার ছেলে মোঃ আশিক ( ২২ ) ও নয়ন ( ১৮ ) উল্লেখিত বিবাদীদেরকে এহেন কর্মকান্ড করিতে নিষেধ করিলে তাহারা আমার ছেলেদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং বলে যে , আমার ছেলেরা যদি তাহাদের সহিত চলাফেরা না করে এবং তাহাদের মাদক বিক্রয়ের কাজে সহায়তা প্রদান না করে তাহা হইলে যে কোন সময় আমার ছেলেদেরকে মাদক দিয়া প্রশাসনের কাছে ধরাইয়া দিবে নচেৎ আমার ছেলেদেরকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবে ।
উল্লেখিত বিবাদীগণ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তাহারা উক্ত ১ ও ২ নং বিবাদীদের হুকুমে দীর্ঘদিন ধরিয়া সপ্তাপুর কমর আলী স্কুলের দক্ষিণ পাশে খেলার মাঠে বসিয়া মাদক সেবন ও মাদক বিক্রয় করিয়া থাকে । উল্লেখিত বিবাদীদের ভয়ে এলাকার সাধারণ ছেলে মেয়েরা সেখানে খেলা ধুলা করতে পারে না । তাহারা যখন যাকে খুশি ডাক দিয়া মাদক সেবন করতে উৎসাহ প্রদান করে এবং তাহাদের কথা না শুনলে এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর করে । বিষয়টি আমার ছেলেরা আমাকে জানানোর পর আমি উল্লেখিত বিবাদীদের কে এহেন কর্মকান্ড করিতে নিষেধ করিলে তাহারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং বলে যে , আমাকে ও আমার ছেলেদেরকে রাস্তা ঘাটে সময় সুযোগ মত পাইলে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবে নচেৎ আমার ছেলেদেরকে যে কোন সময় অপহরণ করিয়া নিয়া যাইবে ।
আমার মামাতো ভাই মোঃ অহিদুল ইসলাম অহিদ ইতিপূর্বেও উক্ত ১ ও ২ নং বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানা সহ পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । কিন্তু বিবাদীরা কাহাকেও কোন তোয়াক্কা না করিয়া তাহাদের খারাপ কর্মকান্ড চালাইয়া আসিতেছে । সর্বশেষ ইং- ০৫/০৮/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান- ০৭.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ১ ও ২ নং বিবাদীর নির্দেশে অন্যান্য বিবাদীগণ হাতে লোহার রড , চাপাতি , সুইচ গিয়ার চাকু সহ দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র নিয়া আমার বাসায় আসিয়া আমার ও আমার ছেলের নাম ধরিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে । তখন আমি বিবাদীদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে তাহারা আমাদের কে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং বলে যে , তাহাদের বিরুদ্ধে আর কোন দিন কিছু বললে আমাকে ও আমার ছেলেদেরকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবে নচেৎ যে কোন সময় আমার ছেলেকে মাদক দিয়া ধরাইয়া দিবে । উল্লেখিত বিবাদীগণ খারাপ প্রকৃতির লোক । তাহাদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ধরুন এলাকার মানুষ অতিষ্ট হইয়া পড়িয়াছে । তাহারা যে কোন সময় আমার বা আমার ছেলেদের সহ এলাকার নিরিহ লোকজনদেরকে যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি করিতে পারে । তাহাদের এমন হুমকি ধামকিতে আমি সহ আমার ছেলেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি । ঘটনার বিস্তারিত এলাকার লোকজনদের জানাইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইল । অতএব , উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মর্জি হয় ।
১৬ সালে পিতা ও পুত্রের মাদক ব্যবসা কালীন বাদলের পিতার চায়ের দোকান থেকে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম পরে ৩মাসের সাজাভোগ করেন।
আখি আক্তার জানান, অজ্ঞাত নামা বড় ভাইকে ফোন করে বাদল বলেন, বড় ভাই আপনি অর্ডার দেন ওদের দুই ভাই’র এক ভাইয়ের কল্লা ফালাইয়া দেই তবে ঠান্ডা মাথায় ব্যবসা করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, তাদের মাদক বিক্রিতে সুবিদার জন্য খেলার মাঠে কোন ছেলেদের খেলাধুলা করতে দেয় না।
মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় পাঁচ বছর পূর্বে দুই সন্তানের জননী বাদলকে তালাক দিয়ে চলে যান। এ এলাকা থেকে মাদক মুক্ত করতে চাই। যাতে আমাদের সমাজের কোন মায়ের সন্তান যেন নষ্ট না হয়।