সব খেলার সেরা খেলা ফুটবল। ৮০-৯০ এর দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিলো ফুটবল। ওই সময়ে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ফুটবল মাঠ মাতিয়েছেন মোঃ ইউসুফ আলী। ফুটবল খেলেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কিন্তু ২০০২ সালে ইনজুরির কারণে ফুটবল খেলা বাদ দিতে হয়। তারপর থেকেই সংসারে টানাপোড়েন শুরু। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে ভাড়া বাড়িতে ইউসুফের বসবাস। বড় ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।আর ছোট ছেলের বয়স সবেমাত্র ৩ বছর।
আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় কোনোরকমে দিন কাটে তাঁর পরিবারের। কোনো কাজ করতে না পারায় দারিদ্র্যের কষাঘাতে বিবর্ণ ইউসুফের জীবন।
ফুটবলার হিসেবে ইউসুফ আলীর শুরুটা হয় ১৯৮১ সালে ঢাকা মহানগরীর হয়ে ইন্টার স্কুল লীগ খেলা দিয়ে। এরপর ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ(জাতীয় পার্টি নেতা) ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়, প্রথম এরশাদ কাপ নামের টুনার্মেন্টের আয়োজন করা হলেছিল। তখন ইউসুফ আলী খেলেন এরশাদ কাপ টুর্নামেন্টে। ১৯৮৫ সালে ইউসুফ আলী ছিলেন পাইওনিয়ার লীগে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় । তিনি পাইওনিয়ার খেলে যান ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত।
আরামবাগ ক্রীয়া সংঘ বাংলাদেশের ফুটবল দলের অন্যতম পরিচিত ক্লাব। সে দলের হয়ে ১৯৮৮ সালে তৃতীয় বিভাগ খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন ইউসুফ। ১৯৮৯ থেকে প্রথম বিভাগ। তারপর ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে খেলেছেন। তখন থেকে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেন ইউসুফ। যার মধ্যে, আদমজী ক্লাব, ওয়ারী ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন অন্যতম।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বা কোনো
ক্লাব খোঁজখবর রাখেনি তার। ফুটবল সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকে আর্থিক সহায়তাও পাননা তিনি।
কথা হলে সাবেক এ ফুটবলার বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছি। ইনজুরির কারণে আমি ২০০২ সালে খেলা থেকে অবসর নেই।তবে অবসরে যাওয়ার পর থেকে আর্থিকভাবে অনেক সমস্যায় দিন কাটাচ্ছি । পরিবারের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে হয় আত্মীয় স্বজন থেকে সাহায্য নিয়ে । আমি একাধিকবার ফুটবল ফেডারেশনে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কারো থেকে কোনো প্রকার সাহায্য পাইনি।