ফতুল্লায় উত্তর হাজীগঞ্জ ও পাঠানটুলী কবরস্থান পানির পাম্প এর সামনে কিশোর গ্যাং এর ছুরিকাঘাতে স্বপন (১৯) ও মিরাজ (১৫) নামে দুই কিশোর রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর হয়েছে। এসময় তারা চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত স্বপনের পিতা আমিন ও মিরাজের পিতা মুসা পৃথকভাবে ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাগেছে, উত্তর হাজীগঞ্জ পাঠানটুলী করবস্থান সংলগ্ন মো. আমির এর পুত্র স্বপন (১৯) ও মো. মুসার ছেলে মিরাজ (১৫) উভয়ে বাসায় আসার পথে পানির পাম্প এর সামনে তাদের গতিপথ রোধ করে কিশোর গ্যাং দলের সদস্য ভূট্টুর ছেলে রাজ (১৮),শান্ত (১৮), সেরাজুল এর পুত্র পারভেজ (৩০), সোহান (১৮), পাপ্পু (১৯) ও মারফত এর পুত্র সাকিব (৩০)সহ সঙ্গীয় দলবল স্বপন ও মিরাজের গতিপথ রোধ করে টাকা পয়সা মোবাইল ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে।
এ সময় তাদের ছিনতাই কাজে বাঁধা দিলে কিশোর গ্যাং দল উত্তেজিত হয়ে স্বপন ও মিরাজকে মারধর করার পর তাদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে একজনের গলায় ও অন্য জনের পেটে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় তারা চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ রাজ, শান্ত, পারভেজ, সোহান, পাপ্পু, সাকিব, এরা সবাই একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং অপরাধী চক্র। এ চক্রটি হাজীগঞ্জের বিভিন্ন অলিগলিসহ কবরস্থানে আশপাশে চুরি, ছিনতাই, মাদক কেনা বেচাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করে থাকে।
দিন দিন তাদের অপরাধের সীমানা বৃদ্ধি করে চলছে। সমাজের কেউ তাদের ভয়ে মুখ খুলার সাহস পায়না। বিকেল হতে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে তাদের অপরাধের রাম রাজত্ব।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন হাজীগঞ্জ ও পাঠানটুলী এলাকায়। পুলিশ প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় নিরবে দিন দিন অনেক অপরাধ ঘটে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই মিজানুর রহমান বলেন, ঘঠনার সত্যতা পেয়েছি, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত হয়ছে।