বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ৩ বারের সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের কন্যা সামছুন নূর বাঁধন। চলতি মাসের ১৩ই আগস্ট শনিবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী তালিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সকলের ভালবাসায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছে সামছুন নূর বাঁধন। এর আগে তিনি হাই কোর্টে প্রাকটিস পারমিশন রীটেন ও ভাইবা পরীক্ষা দেন।
এদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই এগিয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করছেন “ জালাল হাজী পরিবারের যোগ্য উত্তসূরি এ্যাড. নুর বাধন।
এ বিষয়ে সামছুন নূর বাঁধন বলেন, দেশের সাধারন মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে আইন পেশায় প্রবেশ করেছি। আমাদের পরিবার তিন জেনারেশন যাবত জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে দেশের মানুষের সেবা করে আসছে। মানব সেবা, রাজনীতি ও আইন অঙ্গনের সাথে আমার পরিচয় ছোটবেলা হতেই। তাই অন্যকিছু ভাবার অবকাশ হয় নাই। শখের বশে আইন পড়লেও তাই এটা এখন পেশা ও নেশায় পরিনত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার দাদা মরহুম জালাল হাজী ছিলেন একজন উদার মনের মানুষ। তার রাজনৈকি জীবন ও নিরলশ ভাবে সাধারণ মানুষের সেবা করার মনমানসিকতার বিষয় আপনারা সবাই জানেন। ঠিক একই পথে হেটেছেন তার যোগ্য উত্তসূরি হিসেবে আমার বাবা সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম। তাদের উত্তসূরি হিসেবে আমার ভাই রাজনীতিত্বে বেশ সক্রিয় ভাবে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
পাশাপাশি এখন নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে ওয়ার্ডবাসীকে সেবা করে যাচ্ছেন। তাদের ফলো করেই আমার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা থাকলে আল্লাহর রহমতে জীবনের শেষ মূর্হুত পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
এদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক ৩ বারের সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। যার গায়ে কখনই দুর্নীতির ছিটে ফোটার আচলাগতে দেননি। যিনি একাধিকবার সাংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরও, নির্বাচন আসলেই বাবা জালাল হাজীর রেখে যাওয়া সম্পাদ বিক্রি করে নির্বাচনের অর্থ জোগার করতেন। পাশাপাশি তার ছেলে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেই জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে।
উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মরহুম হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদকে দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য তাকে মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। সেই সাথে তৎকালিন সময় তাকে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন দিয়ে সম্মানীত করেন।
সাধারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। নির্বাচিত হয়েই তিনি নারায়ণগঞ্জের সকল রাজনীতিবিদদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষের প্রাণের দাবি খানপুর হাসপাতাল (বর্তমান ৩শ শয্যা), গণবিদ্যা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল র্টামিনাল, বন্দর হাজী সিরাজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়াও পলিও টিকা সহ শিশুদের সকল টিকা সরকারীভাবে বিনামূল্য বিতরণ, করেন রাস্তাঘাট উন্নয়ন, নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাকে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হিসেবে নারায়ণগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দলের একটি মজবুত ফাউন্ডেশনে তৈরি করেন। জিয়াউর রহমান তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তা তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করেন আমৃত্যু পর্যন্ত।