নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সহধর্মিণী ও জেলা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের ইতিহাস জানতে হবে।বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানতে হবে। নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে চাই তাহলে এই ন্যাক্কারজনক নিশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নৌকার জন্য ভোট চাইতে নামলাম। ভোট চাওয়ার জন্য চাইতে হবে। ১৯৭৫ এর পর ১৯৯৬ তে যখন ভোট চাইতে নামলাম তখন জালকুড়ি এলাকায় কোন রাস্তাঘাট ছিল না। একজন লোক বলেছিল যাদের ডায়াবেটিস আছে এই সড়ক দিয়ে হাঁটলে তা আর থাকবে না। সেই সময়ে এ সড়ক দিয়ে হাঁটা খুব কষ্ট ছিল। আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করেছি তা পূর্ণ করেছি। একজন বৃদ্ধা আমাকে দেখার জন্য অনুরোধ করেছিল সেই সময় একজন বলে আপনি যান অপরজন বলেন না আপনি যাবেন না। ঘটেছিল জরাজীর্ণ নিচু আমি গেলাম। বৃদ্ধা মা বলল স্বাধীনতার এতদিন হওয়ার পরও বাঙালি জাতির কাছে বঙ্গবন্ধুর জন্য এখনও ভোট চাইদে হবে। বৃদ্ধা মা আঁচল বের করে বৃদ্ধা মা বললো মা তুমি যাও বঙ্গবন্ধুর জন্য ভোট চাইতে হবে না। বঙ্গবন্ধুর জয় আমি দেখে যেতে পারব।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট ) বিকালে জামতলা নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা কার্যালয়ে সদর উপজেলা তথ্য আপা প্রকল্পের আয়োজনে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা তথ্য আপা প্রকল্পের তথ্যসেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিপি ওসমান এ কথা বলেন।
লিপি ওসমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার এতবড় নির্মমতাকে প্রতিবাদ করতে জানিনা আমরা কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছি । যার মনুষত্ব নাই তার নামাজ, রোজা, এবাদত সব কিছুই না। তার চেয়ে বড় এবাদত হলো মনুষত্ব। আজ আমরা জাতির পিতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান, সদর উপজেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শাহনাজ মঞ্জুর রেখা, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা সদস্য ডা. শিরিন বেগম, মাহমুদা রহমান ডালিয়া, কামরুন নেসা মিতালী, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা তথ্য আপা প্রকল্পের তথ্যসেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া ইয়াসমিন,
তথ্যসেবা সহকারী আরমিন রহমান, মারিয়াম , অফিস সহায়ক সাবিকুন নাহার বৃষ্টি যুব মহিলা লীগের মনি আক্তার প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরানো হয়। পরে নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।