নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শাওনের গায়েবানা জানাজায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার ( ২ সেপ্টেম্বর ) বাদ জুম্মা রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র পার্টি অফিসের সামনে নিহত যুবদল কর্মী শাওনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গায়েবানা জানাজা পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছার উদ্দিন। জানাজা শেষে নিহত শাওনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুস সবুর খান সেন্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাই রাজু, সদস্য মোশাররফ হোসেন, রুহুল আমিন শিকদার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আরিফুজ্জামান ইমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাচ্চু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, মহানগর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, শেখ মোহাম্মদ অপুসহ জেলা ও মহানগর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিপরীতে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলিতে শাওন (২০) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হন।