নারায়ণগঞ্জ বন্দরের পাড়া মহল্লায়সক্রিয় একাধিক কিশোর গ্যাং, আতংক অল্প বয়সী কিশোর ও সদ্য কৈশর পেরোনো উঠতি বয়সীরাই এখন বন্দরবাসীর প্রধান আতংক।
সামান্য কিছুতেই তারা জড়িয়ে পরছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। হত্যা করতে ও তারা সামান্য ভাবেনা। এরা দলবেধে রাস্তার মোড়ে মোড়ে, অলি-গলিতে, চায়ের দোকানে বা খালি কোন মাঠ আড্ডা মারে। অধিকাংশরাই আবার নেশায় বুধ হয়ে থাকে। ফলে তারা যে কোন অপরাধ সহজেই জন্ম দিয়ে থাকে।এরা চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক, ইভটিজিং,ধর্ষনসহ নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে।
এমনকি খুনের মতো ঘটনার জন্ম দিতে ও কার্পন্য করেনা তার। নিজেদের অবস্থান বা শক্তি বৃদ্ধিতে এ সকল কম বয়সী কিশোর ও সদ্য কৈশর পেরোনে উঠতি বয়সীদের তথাকথিত রাজনৈতিক বড় ভাইয়েরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।মহলটির মতে, অসুস্থ রাজনীতির শিকারে পরিনত হচ্ছে কিশোর ও সদ্য কৈশর পেরোনো উঠতি বয়সী তরুনরা।তথ্য মতে, বন্দরের প্রতিটি এলাকায় দিনকে দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে এ সকল অপরাধীরা। অল্প বয়সী কিশোর ও সদ্য কৈশর পেরুনো উঠতি বয়সী তরুনরা নিজেদের মেলে ধরতে রাজনৈতিক বড় ভাইদের আশ্রয়- প্রশয়ে এসে তাদের সাথে মিছিল-মিটিংয়ে গিয়ে তাদের আর্শীবাদপুস্ট হয়ে স্থানীয় মহলে জন্ম দিয়ে থাকে নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এদের অধিকাংশরাই আবার ব্যবহার করে থাকে ক্ষুদ্র আকারের ধারালো অস্ত্র।
কারো সাথে কথাকাটাকাটি বা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরা ক্ষুদ্রাকৃতির ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে রক্তাক্ত জখম সহ খুন করতেও দ্ধিধা করেনা। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় একটি বা একাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। তবে এ কিশোর গ্যাং বলে পরিচিত এ সকল গ্রুপে যে আবার সকলেই কিশোর বা ১৮ বছরের নিচে তা কিন্ত নয়।
এ সকল গ্রুপে সদ্য কৈশর পেরুনো উঠতি বয়সী তরুনরাও রয়েছে।তারাই মূলত গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। আধিপত্য বা কোন বিষয়ে সংঘর্ষ হলে অন্য এলাকার বন্ধু গ্যাং সদস্যরা যোগ দেয়।এরা অহেতুক এলাকায় দল বেধে ঘোরাঘুরি, স্কুল- কলেজ ছুটির সময় বা গার্মেন্ট ছুটির সময় এরা খুব ব্যস্ত হয়ে পরে। মোটর সাইকেলে করে শব্দ করে হর্ন বাজিয়ে পাড়া মহল্লার অলিগলিতে ছুটে বেড়ায়।বন্দর থানা এলাকার একাধিক তথ্য মতে,বন্দর বাজার-ইস্পাহানী বাজার ও বন্দর দক্ষিন শাহী মসজিদ এলাকায় রয়েছে কিশোরংগ্যা নেতা শেখ সিফাত, যার পিতা শেখ শাহীন তারও রয়েছে আলাদা গ্রুপ, বন্দর ছালেহনগর এলাকার রফিক আলীর ছেলে রাতুলের গ্রপ।
এই বাহিনী মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, সড়কে মালবাহী ট্রাক থেকে চুরি করে থাকে বিভিন্ন পন্য সামগ্রী, বন্দর এলাকায় আরো রয়েছে মৃত: মোক্তার মাদক সম্রাটের ছেলে পিচ্চি আল-আমীন বাহিনী, বন্দর ঠাঁকুর বাড়ী কলোনীর আপ্যাত মিয়া পোলা তসিব, শাহীন মিয়ার বাড়ীর পাশের বাড়াটিয়া মৃত: সমুর ছেলে রাজুর নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এই সব বাহিনীর সেল্ডার দেন হলুদ সাংবাদিক শেখ আরিফ তার রয়েছে অসাধু পুলিশের সাথে গভীর সখ্যতা যার কারনে পার পেয়ে যায় তার ভাতিজা কিশোরংগ্যা নেতা শেখ সিফাতসহ তার বাহিনী আর এজন্য এরা ছিনতাই, মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসী কে জিম্মি করে রেখেছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সময়ের সবচাইতে বড় আতংকের নাম। তারা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করেনা।সামান্য কিছুতেই এরা ভয়ংকর রুপ ধারন করে খুন- খারাবির মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। এদের পেছনে রয়েছে আবার প্রভাবশালী বড় ভাইদের আর্শীবাদ। ফলে টু শব্দটি পর্যন্ত কেউ করেনা।
জেলা পুলিশের দ্ধায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, কিশোর গ্যাং দমনে ইতিমধ্যেই প্রতিটি থানা এলাকায় তালিকা তৈরি হচ্ছে। খুব অচিরেই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে সূত্রটি জানায়।কিশোর গ্যাং নিয়ে হার্ড লাইনে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। নবাগত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল কিশোর গ্যাং এর ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছেন। প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এলাকা ভিত্তিক কিশোর অপরাধীদের তালিকা করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে এলাকা ধরে তালিকা প্রস্তুতের কাজ। গতকাল পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।