আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মন্টু বলেছেন, চারিদিকে খালি নাই আর নাই। গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই, বিশুদ্ধ পানি নাই। শুধু নাই আর নাইয়ের মধ্যে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী বসবাস করি। এর মধ্যে আছে মূল্যে বৃদ্ধি। এই তিতাস গ্যাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ্যাকাউন্ট জব্দ করা হোক। ওদের বাড়ি-ঘর কোথায় আছে তদন্ত করা হোক। ওরা বউয়ের নামে শাশুড়ির নামে বাড়ি-ঘর কিনে। এরপর হেবা করে আবার তার বউয়ের নামে নিয়ে নেয়। যেয়ে দেখেন উত্তরা, বনানী, গুলশানে সচিবালয়ের সচিব দের পাবেন, গ্যাস কোম্পানিকে পাবেন, বিদ্যুৎ কোম্পানিকে পাবেন। এই চুরি বন্ধ হবে না।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বালুর মাঠে তিতাস গ্যাস কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন করে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই বলেছেন মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। সাত কোটি বাঙালির জন্য কম্বল আসলো আমার বাড়ির কম্বল কই? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আপনারা কেউই বাস্তবায়িত করতে পারেন নাই। তাই বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে সাতদিন, ১৫ দিন আমরা এখানে বসবো। এখানে রান্না করবো এইখানেই খাব। দেখি ওরা কোথায় যায়? গ্যাস কোথায় যায়?
নাসির উদ্দিন মন্টু বলেন, আন্দোলনের সূতিকাগার খ্যাত এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই ৬দফা সহ স্বাধীনতার ডাক এসেছিল। বহু মায়ের কোল খালি হয়েছে। আমরা রাজধানীর পাশে অবস্থান করি, কিন্তু আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। দেখেন ওয়াসা হটাও আমরা ওয়াসা হটিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাছে দায়িত্ব দিলাম। সিটি কর্পোরেশন আবার পানির কর বাড়িয়ে দিলেন ৩ শতাংশ। আগে তো দেখেছেন ১শ’ ২শ’ ফুট পর পর পানির কলের ব্যবস্থা ছিলো। আর আমাদের মা ও বোনেরা বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি রাস্তা থেকে নিয়ে যেতো। এখন সেটাও নাই। তারপরও আমাদের পানির কর দিতে হয়।
নাসির উদ্দিন মন্টু আরও বলেন, আমরা এখানে অবস্থান ধর্মঘট করব। যতদিন পর্যন্ত গ্যাস না পাই। আর এই চোরের দল যতদিন গ্যাস দিতে না পারবে ততদিন এখানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে।