নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মাদক ব্যবসায়ী কিশোর গ্যাং লিডার ও পুলিশের সোর্স সবুজ এর হামলার ঘটনায় ৯৯৯ ফোন করেও সাহায্য পায়নি শাহানাজ বেগম। এ হামলায় স্কুল পরুয়া শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত (১৪), আলআমীন (১৮) বৃদ্ধাসহ বেশ কজন মহিলা আহত হন।
সোমবার ( ১২ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাতে সাড়ে ১১টায় বন্দর সালেহ নগর বাংলাদেশ পাড়া নামক এলাকায় শাহানাজ বেগমের বাড়িতে মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স সবুজ বাহিনীর হামলায় বাড়ি ঘর ও দোকান ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগী শাহানাজ বেগম সংবাদমাধ্যমকে জানান, কিশোর গ্যাং লিডার,মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত শওকতের ছেলে সবুজ বাংলাদেশ পাড়ায় আমাদের বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত মাদক বিক্রি করে এবং এখানে অনেকেই মাদক সেবনও করায়। যেহেতুক পুলিশের সোর্স গিরি করে তাই এ এলাকায় কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতো না। আর তার নিয়ন্ত্রনে কিশোর গ্যাং এর বড় একটা সিন্ডিকেট দিয়ে এএলাকায় নিরাপদ মাদকের স্পট তৈরি করেন সবুজ।
তিনি আরোও জানান, সোমবার দিবাগত রাতে আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে ঘরে অবস্থান কালীন কিশোর গ্যাং এর সিহাব আমার ঘরে প্রবেশ করে ছেলের কাছ থেকে (কেচি) চাওয়া হয়। সিহাবকে জিজ্ঞাস করেলে গাঁজা কাটার কথা সুনে কেচি না থাকার কথা বললে আমার ছেলেকে মারধর করে চলে যায়। পরবর্তীতে কিছু সময় পর কুশোর গ্যাং এর বাহিনী সঙ্গবদ্ধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালায়। আশপাশের লোকজন বাচাইতে এগিয়ে আসলে তারাও এ হামলার সিকার হন। এবং আমার স্বামীর বেতনের টাকা ও কিস্তি থেকে উঠানোর টাকা এবং অলংকার সহ দামী জিনিস পত্র লুট করেছে সবুজ বাহিনীরা। আমার অসুস্থ বৃদ্ধা শ্বশুরকে নিয়ে ২দিন না খেয়ে রয়েছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, তারা খুবই ভয়ংকর! এ কিশোর বাহিনীকে সেল্টার দেয় পুলিশের সোর্স সবুজ। তাদের সবার বাড়ি বারুই পাড়া তারা কেউ এ এলাকার না। এখানে তাদের মাদক বিক্রির নিরাপদ স্পর্ট। তাদেরকে প্রশাসনের ২জন কর্ম কর্তা সেল্টার দিয়ে থাকে তাই কেহ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। শাহানাজ বেগম একজন গার্মেন্টস কর্মী, শাহানাজের স্বামী শাহআলম বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাওয়ার প্ল্যান্টের শ্রমিক। তাদের সাথে কারোরই জগড়া হয়না তারা ভালো মানুষ। সবুজ ও তার কিশোর গ্যাং হাবিনীর দ্বারায় অনেক বাড়ি ঘরে সহ দোকানপাটে হামলা ভাংচুর করেছে।
শাহানাজ বেগম আরোও জানান, মাদক ব্যবসায়ী কিশোর গ্যাং এর অতর্কিত হামলার ঘটনায় আমার মেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে বন্দর থানা থেকে কোন পুলিশ আসেনি সহযোগিতা করতে। এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে বন্দর থানায় শরণাপন্ন হলে ২পুলিশের কর্মকর্তা জিয়া ও আহাদ আমাদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। যা মিহিলাদের গায়ে হাত তুলা পুলিশের পুরুষ কর্মকর্তার কাছ থেকে আশা করা যায় না।
এঘটনায় অভিযুক্ত বারুই পাড়ার শওকতেরর ছেলে সবুজ (৩৫),মোশারফের ছেলে সিহাব (১৮), রনি (৩৫), মহিউদ্দিনের ছেলে টাইগার সিফাত, সেলিমের ছেলে তুহিন, সৈকতের ছেলে সোহান, লিটনের ছেলে লিয়ন ও রিফাত, কাঠমিস্ত্রি শাহআলমেরর ছেলে ইয়াসিন সহ অজ্ঞাত ৮/১০জন এর নামে বন্দর থানায় উল্লেখিত নামে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে বন্দর থানা কর্মকর্তারা তা আমলে না নিয়ে উল্টো হুমকিধামকী দিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী শাহানাজ বেগম।
এবিষয়ে বন্দর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সহাকে একাধীক বার তার ব্যবহিত ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিব করেন নাই।
শাহানাজ বেগম ৫আসনের এমপি সেলিম ওসমান ও এসপি মহোদয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছেন।