নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা আলীরটেকে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মোক্তার কান্দী এলাকায় সাবেক মেম্বার ইকবাল মাহমুদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের অজুহাত দেখিয়ে ফজলেতুন নেছার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও শাহিন মেম্বার সহ আরোও তিনজনের বিরুদ্বে অভিযোগ উঠেছে সংবাদ সম্মেলনে।
ফজলেতুন নেছার সংবাদমাধ্যমকে জানান, মোক্তার কান্দী এলাকায় আমার ক্রকৃত ৩৬ শতাংশ জমি থেকে জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। তারা বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ আরো কজন। তারা আরসিসি সড়ক নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে আমার বসত বাড়ির প্রাচীর ভেঙ্গে সড়কের নাম করে জমি দখলের পায়তারা লিপ্ত রয়েছে। স্ব-ইচ্ছায় বাড়ির প্রচীর ভেঙে জমি না দিলে এ এলাকাতে কি ভাবে তরা থাকিস তা আমরা দেখে নিব।
এই সড়কে সম্পন্ন জায়গা আমাদের। আমাদের বাড়ির বাড়ির অপর প্রান্তে কারো কোন সড়কের মধ্য জায়গা নেই। চেয়ারম্যানের সেন্টারে ওহাব মেম্বার ও ফিরুজ মেম্বার হুমকিস্বরূপ বলেন শহরে মানুষেরা বলেন আমরা চৌড়া, আমরা ডাকাতের ভুমিকা নাকি থাকি! আমাদের নাকি কোন বোকপিঠ নেই! মানুষ খেয়ে হজম করতে নাকি পারি আমরা তাই ভালোয় ভালোয় জায়গাটা ছেড়েদেন আপনি মুরব্বী মানুষ বেশি কিছু বললাম না। মেম্বারা সহ সঙ্গবদ্ধ হয়ে বেশ কিছু মানুষ আমার বাড়ির সামনে এসে হইচিল্লাচিল্লি করে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইকবাল মাহমুদ জানান, পূর্বে এখানে কোন রাস্তা ছিলনা। ভাগের জমির অংশ কমে যাবে বলে কেহ সড়কের জন্য জায়গা দিতেও চায় নাই। এসড়কটি সম্পন্ন কাচা রাস্তা ছিল। আমার ওয়ার্ড বাসীর কথা চিন্তা করে আমাদের ৩৬ শতাংশ থেকে লম্বায় ৮৪ ফুট ও পাসে ১১ ফুট রাস্তার জন্য ছেড়ে দেই।
আমি মেম্বার থাকা কালে ২০১৮ সালে এখানে আমি ওয়ার্ডের জনগনের কথা চিন্তা করে ১০ ফিট ইটের সড়ক করতে গিয়ে পাসে আরোও ৩ ফুট ছাড়ি যা সর্ব মোট ১৪ ফিট পরে আমার সিমানার প্রাচীর। এ সড়কে সর্বমোট আমাদের ৩শতাংশ জায়গা দিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও মেম্বারা উভয়পক্ষ থেকে জায়গা না নিয়ে আমার জমির উপর তাদের লোভ পরেছে।
সাবেক মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান রবি আহম্মেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের অপরাধ আমরা সাবেক চেয়ারম্যান মতি সাহেবের সময় মেম্বার ছিলাম।
রবি আহম্মেদ আরোও বলেন, ইকবাল মেম্বার জায়গা নাদিলে তখন এসড়ক হয় না। তাদের এধরনের জুলুম-অত্যাচারের আমরা নিন্দা জানাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান সম্পন্ন ইকবাল মেম্বারের জায়গায় সড়ক তার পরেও তাদের এখানেই এতো জায়গা লাগবে কেনো! অন্যআন্য স্থানে তো এতো জায়গা নেওয়া হয় নাই।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌস বলেন,কারোর সিমানা প্রাচীর ভাঙ্গার নির্দেশ দিতে পারিনা যা ইউএনও’র
একতিয়ার নেই । এটা ফৌজদারী সমস্যায় আদালত সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
বিচারহীনতায় ভোগছে ইকবালের পিতা-মাতা এ বিষয়ে এমপি সেলিম ওসমান ও এসপি মহোদয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছেন।