নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেছেন, প্রশাসনের মামলায় রিপোর্ট দিয়েছে। সেখানে বলা হয়ে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে মেয়রের ওপর পিস্তল উচিয়ে আক্রমন। তারপরেও বলে কিছু হয়নি। আপনারা সকলে চুপ। কারও সত্য বলার জো নেই। আমি একা হয়ে গেছি। আমার কাউন্সিলররাও আপোষ করে চলে। নয়ত মামলার আসামি হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণার সময় এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, আপনারা খেয়াল করবেন নাসিকে কি পরিমান হকার বসে। মীর জুমলা রোড আর নেই। এতকিছু করে যে রোড আমরা উদ্ধার করেছিলাম। আপনারা আমাকে এক রকম নাস্তানাবুদ করেছিলেন। আপনাদের সাথে নিয়ে সে রোড উদ্ধার করেছিলাম। আমিতো সে রোড উদ্ধার করতে পারিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মীর জুমলা রোড টেন্ডার দিত না। পরে যখন সিটি করপোরেশন হল। সাময়িক ভাবে যখন প্রশাসক ছিল তখন তারা টেন্ডার দিয়ে দিল। এখন সেখানে বাজার হয়ে গেছে৷ শায়েস্তা খান রোড তো পুরো কাঁচাবাজার। এর পেছনে কারা আপনারাও জানেন। প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া সেখানে কেউ বসতে পারে না। নগর পরিষ্কারের দায়িত্বে সিটি করপোরেশন পুলিশ এসপি সাহেবের ম্যাজিস্ট্রেট ডিসি সাহেবের। আপনারা হাত পা বেঁধে ভোট দিয়ে আমাকে বসিয়ে দিয়েছেন।
এই হকারদের থেকে কে টাকা তোলে আমরা জানি কিন্তু বলি না। তাহলে প্রশাসনের কি ঠেকা নাকি প্রতিদিন উচ্ছেদ করবে। আপনারা কথা বলেন আমি আপনাদের সাথে আছি।
কোন দেশে রাস্তার ওপর ট্রাক রেখে প্রশাসনকে মাসোহারা নেবে আর জনগণকে চলতে দিবো না। অনেকেই এ শহরে মাসোহারা নেয়। এগুলো দিয়ে তারা অবৈধ ব্যাবসা করছে। শীতল মৌমিতাকে মামলা দেয়া যাবেনা। তারা চাষাঢ়ায় দাবড়ে বেড়াবে। এর থেকে কারা টাকা কামায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজী নুরউদ্দিন, কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, কামরুল হাসান মুন্না, মনিরুজ্জামান মনির, নূরউদ্দিন, গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল, অহিদুল হক ছক্কু, রিপন, রিয়াদ, শওকত হাসেম শকু, সুলতান আহমেদ, মোকলেছ, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, এনায়েত, শাহিনসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা।