নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৩ নং ওয়ার্ডে গলাচিপা মসজিদ সংলগ্ন মোড় দুদু মিয়ার ডোকেরেটরের সামনে লুডু খেলার অন্তরালে গলাচিপা বিলাই পলাশ ও প্রতিবন্ধী মাসুদের ফেন্সিডিল ব্যবসা সেলসম্যান হিসেবে কাজ করছে ক্যাশিয়ার সিদ্দিক, পিচ্ছি মুকুল ও গরম সেলিম গংরা।
লুডু খেলার অন্তরালে গলাচিপার ফেন্সি ব্যবসায়ী বিলাই পলাশ ৫২ বোতল ফেন্সিডিলসহ সদর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আবারও শুরু করেছে মাদক ব্যবসা।
এলাকার স্থানীয়দের সূত্রে আরও জানাযায়, মাসদাইর লিচুবাগের মাদকের ডন সদর এবং ফতুল্লা থানার বহু মামলার আসামী ঘোডা মামুনের ভাই মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী মাসুদ ও বিলাই পলাশ গলাচিপা মোড়ের শ্যামলী কাউন্টরের আশপাশে ফেন্সিডিলের ব্যবসা জমজমাট চলছে। গলাচিপার মাদক ব্যবসায়ী জামিনে থাকা বিলাই পলাশের ক্যাশিয়ার পাকনা সিদ্দিক, সেলম্যান পিচ্ছি মুকুল ও গরম সেলিমকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করাচ্ছে মাদকের ডন প্রতিবন্ধী মাসুদ ও বিলাই পলাশ।
সূত্রে আরোও জানাযয়, প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় এই মাদক ব্যবসায়ীর ফেন্সিডিলের ব্যবসা তার মাদক আসে হাইফাই গাড়ী দিয়ে এতে বুঝার কোন উপাই নেই যে এই গাড়ী দিয়ে মাদক আশে। তার দুই তিন জন সেলম্যান আছে যাদের প্রতি পাঁচ-সাতশ টাকা রোজ তাদের কাজ হল কাষ্টমার আসলেই গলাচিপার দুদু মিয়ার ডোকেরটরের পিছন থেকে অথবা গলাচিপার মোড়ের শ্যামলী কাউন্টারের আশপাশ থেকে গিয়ে ফেন্সিডিল এনে ক্রেতার কাছে পোউছে দিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা একটি ফেন্সিডিল বিক্রি করছে ৩ হাজার থেকে ৩২ শত টাকায়। আর এই মাদকের টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী মাসুদ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে বলে জানান তার ঘনিষ্টজনরা।
মাসদাইরের লিচুবাগের মাদকের ডন ফতুলা ও সদর থানার বহু মামলার আসামী ঘোডা মামুনের ভাই মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী মাসুদ ছিল ক্রস ফায়ারে নিহত শীর্ষ মাদক কারবারী বন্দুক শাহীনের মাদক বেচাকেনার ক্যাশিয়ার। বন্দুক শহীন ক্রস ফায়ারে মারা যাওয়ার পর কয়েক মাস মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী মাসুদ কুমিল্লা শশুর বাড়ী চলে যায়। সেখানে গিয়ে ২ হাজার পিছ ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ১ মাস জেল খেটে জামিনে বেড়ীয়ে আবারও শুরু করেছে ফেন্সিডিল ও ইয়বা ব্যবসা। গলাচিপার পিচ্ছি বন্ধু মুকুলকে দিয়ে পুরুদমে চালু করেছে মাদক ব্যবসা।
এনিয়ে এলাকাবাসী মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী মাসুদ ও বিলাই পলাশসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানিয়েছেন।
ঐ এলাকা সূত্রে আরো জানাযায়, এই মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী মাসুদ এর শশুর বাড়ী কুমিল্লার বর্ডার এলাকায় সেখান থেকে তার বউকে দিয়ে মাদক আনা নেওয়ারও অভিযোগ আছে। সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী মাসুদ তার মাদক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে গলাচিপা মোড় এলাকায় একজনকে ৫০ হাজার টাকা হাওলাদ দিয়েছে এবং তার উকিলশশুর হয়েছে যাতে করে তার মাদক ব্যবসায় কেউ আর বাধা দিতে না পারে।