নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থীর মধ্যে দুই মেরুর মধ্যে ভোটের রাজনীতিতে ঘুড়ি প্রতীকে নিয়ে ভোটারদের কাছে ব্যাপকহারে সাড়া পেয়েছে রাসেল সিকদার।
নাম প্রকাশের না করার সর্থে, ঘুড়ি প্রতীকে প্রার্থী রাসেল সিকদার এর ঘনিষ্ঠজন জানান, জেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ৪ আসন ও ৫ আসনের সংসদসদস্যের বলয়ে ২ মেরুর দুইজন প্রার্থী চাপের মুখে রয়েছেন রাসেল সিকদার।
এক প্রান্তে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদসদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য মো.জাহাঙ্গীর হোসেন। অপর প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের ৫ আসনের সংসদসদস্য একেএম সেলিম ওসমান এর ঘনিষ্ঠ লোক বন্দর ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম। তাদের দুজনের ফোনের যন্ত্রণায় ভুগছেন রাসেল শিকদার।
তারা আরোও বলেন, রাসেল সিকদার এর মাঠ পর্যায় চাহিদা পেয়েছেন বেশ ভালো। অনেক জনপ্রতিনিধিরা রাসেল সিকদারকে ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হলে রাসেল শিকদার ঘুড়ি প্রতীকে জয়লাভ করবে এটা আমাদের বিশ্বাস।
বর্তমানে তারা ২ প্রার্থীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাসেল সিকদার।
ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী রাসেল সিকদারের সমর্থকরা জানান, আমরা আগেও ভোটারদের কাছে গিয়েছি সাড়া পেয়েছি। বর্তমানে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে সব ভোটাদের কাছে যাওয়ার চেষ্ঠা করছি। জনপ্রতিনিধি ভোটাররা তাকে দোয়া করছেন এবং ঘুড়ি প্রতীকে প্রতিজ্ঞা করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া ভোটারদের কাছ থেকে যে প্রতিশ্রুতি পাচ্ছে ঘুড়ি প্রতীকে জয় জয় কার হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। তারা আরোও বলেন, ঘুড়ি প্রতীকে রাসেল সিকদারকে নিয়ে সবারই মাথাব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লটারি ড্র’র মাধ্যমে ঘুড়ি প্রতীক পেয়ে রাসেল সিকদার বলেনন, আল্লাহর অশেষ রহমতে বাবা মা ও মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার প্রতিফলে আমার পছন্দের ঐতিহ্যবাহী প্রতীক পেয়েছি। সকলের দোয়া প্রত্যাশা করছি। আমি যেন নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে পারি।
এসময় ঘুড়ি প্রতিকের রাসেল সিকদারকে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো.জাহাঙ্গীর হোসেন ও ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম সহ অন্যআন্য প্রার্থীরা তরুণ প্রজন্মের রাসেল সিকদারকে ঘুড়ি হাতে সমর্থন দিয়ে দোয়া করে দেন।
এসময় সম্মেলন কক্ষে চার প্রার্থীদের মধ্য ঘুড়ি প্রতীক চাওয়ায় রির্টানী অফিসার লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঘুড়ি প্রতীক চাওয়ার মধ্য তারা হলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাসেল সিকদার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম, মোবারক হোসেন তিনি উপস্থিত না থাকায় ৩জনের মধ্য লটারি ড্র হয়।
একটি বিশেষ মিটিংয়ে ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে ‘ক’জন চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে জেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে ২নং ওয়ার্ড হতে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এসময় প্রতিক পাওয়া অনেক প্রার্থী সরে দাড়ানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়।