নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখা’র সম্মেলন উপলক্ষে আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিরর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটছে।
বুধবার( ৫ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের বাসভবনে সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে।
নেতাকর্মীরা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উপলক্ষে কমিটির কাগজ জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহানারা ইয়াসমিনের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন ও বহিষ্কৃত বিতর্কিত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিব্বিরের বলয়ের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনা থামাতে গেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পথপার্থী জহিরুল হকের সাথেও কথা কাটাকাটি হয় জুয়েল ও সিব্বির বলয়ের নেতাকর্মীদের সাথে।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় কমিটিরর নেত্রী শাহানারা ইয়াসমিনকে জুয়েল হোসেনর অনুসারী বিতর্কিত বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সিব্বির আহমেদের ভাই জসিম ও দলের লোক কাগজ জমা দিলে। এসময় হঠাৎ তাদের হাইব্রিড দাবী করে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এ কথা বললে শুরু হয়ে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পূর্বে সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কাজী শাহানারা ইয়াসমিন সভাস্থলে মারামারির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে সেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা বলেন, হাইব্রিড ও দলের বাহিরের লোকজন কেনো কমিটিতে আসবে? তখন জুয়েল হোসেনসহ তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের উভয়কে থামিয়ে দেন। পরে জুয়েল হোসেন ও সিব্বির আহমেদ মিছিল দিতে দিতে যাওয়া কালীন অবস্থায় মিজমিজি টিসি রোড এলাকায় দ্বিতীয়বারের মতো সংঘর্ষে জড়ান উভয় পক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন, এখানে শান্তি প্রিয় ভাবে আয়োজন শেষে সম্মেলনের জন্যে উভয় পক্ষ কাগজ জমা দেওয়া কালীন হঠাৎ জুয়েল হোসেন ও সিব্বির আহমেদের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের উভয় পক্ষের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুঃখপ্রকাশ করে তারা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতি করেও কেন নিজদের মধ্যে ঝামেলায় যাবো।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল হক জানান, আমরা যারা দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছি আমরা আশাবাদী তারাই দলের কমিটিতে স্থান পাবে। তবে আমাদের সাবেক মহানগর কমিটি সভাপতি জুয়েল হোসেন তার নিজস্ব লোকজনকে দিয়ে কমিটিতে শেষ করতে চায়। যারা কখনো দলের জন্য ছিলো না। তাদের কাগজ নিয়ে তিনি নেত্রীর কাছে দেন। অথচ দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন তার কাছে নাই।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান বলেন, আমার বাসভবনে থাকাকালীন অবস্থা কোনো হাতাহাতির ঘটনা হয়নি। নেত্রী শাহানারা ইয়াসমিন চলে যাওয়ার পর আমি নারায়ণগঞ্জ চলে আসছি। পরে শুনলাম আশপাশে পোলাপান নাকি ঝামেলা করেছে। তবে আমার ঐখানে কিছু হয়নি।