নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি বিতর্কের পর এই প্রথম মাঠে মহানগর বিএনপির পদবঞ্চিতরা। প্রথম কর্মসূচিতেই বাজিমাত করেছেন তারা। কমিটির বাইরে থাকা নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এদিন কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে যোগদেন কর্মসূচিতে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) শহরের মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে এই শোক র্যালি শুরু হয়।
শোকর্যালি উপলক্ষে দুপুর থেকেই মন্ডলপাড়া এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এসময় কাউন্সিলর খোরশেদের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী শোক র্যালিতে যোগদান করেন। এসময় মহানগর বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার ডাকে দীর্ঘদিন পর মাঠে সক্রিয় হতে দেখা যায়।
গত কয়েকমাস যাবৎ সক্রিয় বিএনপির রাজনীতি। নিয়মিত সভা সমাবেশ করছে দলটি। তবে সভা সমাবেশে আশানুরূপ জনসমাগম না হওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে এক রকমের হতাশা কাজ করছিল যা কিছুটা হলেও কেটেছে।
অন্যদিকে দীর্ঘ এই সময়টা নানা রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে কাটিয়েছেন বিএনপি নেতা খোরশেদ। দীর্ঘদিন পর দলীয় কোন কর্মসূচিতে রাজপথে এই নেতা। দলের ভেতরে ও বাইরে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে কাছে পেয়ে ছুটে এসেছেন নতুন পুরনো কর্মীরা।
দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ মহানগরে রাজনীতি করছেন খোরশেদ। ছিলেন মহানগর যুবদলের সভাপতি। পুরো শহরজুড়েই রয়েছে তার বিশাল কর্মী বাহিনী। এছাড়াও সাধারণ জনগণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় এই বিএনপি নেতা।
কর্মীরা বলছেন, বর্তমান সময়ে বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জনগণকে তাদের আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত করা। জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে আনা। সে ক্ষেত্রে খোরশেদের মত জনপ্রিয় নেতাদের বিকল্প নেই। তার যেমন বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। তার পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। ভবিষ্যতের কথা ভেবে খোরশেদের মত নেতাদের সমানে এগিয়ে দিতে হবে। আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে জনগণকে পাশে পেতে হলে তাদের জনপ্রিয়তাই হবে মূল চালিকা শক্তি।