ফতুল্লার হাজীগঞ্জে ইমন(২২) নামক এক যুবককে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যা কান্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী কে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে তাদের কে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে তাদের কে হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার নিউ হাজীগঞ্জের বাশমুলীর মৃত গোলাপের পুত্র সহোদর দুই ভাই শিপন(২৪) ও স্বপন(২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হারেছ শিকদার জানায়,গ্রেফতারকৃতরা মামলার এজাহার নামীয় আসামী।তাদের কে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ (শুক্রবার) তাদের কে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল১০টার দিকে ফতুল্লার নিউ হাজীগঞ্জস্থ জৈনক আজাদ বক্সের পরিত্যক্ত একটি বাড়ীর ভিতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহতের গলায় পেচানো লোহার চেইন ও দড়ি পেয়েছে পুলিশ। তাছাড়া শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতের চিন্থ রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইব্রাহিম হোসেন ইবু বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত দুই জন সহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার অপর আসামীরা হলো ফতুল্লার নিউ হাজীগঞ্জের মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র নুর ইসলাম(৩৬), একই এলাকার মোঃ বিল্লাল হোসেনের পুত্র ইব্রািম খলিউল্লাহ(২২) ও মৃত আলী হোসেনের পুত্র সানজিদ(৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, নিহতের ছেলে ইমন গাড়ীর গ্যারেজে চাকুরি করতো। সেখান থেকে নিহত ইমন কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে অভিযুক্ত আসামী নুর ইসলাম । পরবর্তীতে নুর ইসলামের অবৈধ ব্যবসা মাদক কারবারের দ্ধায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া নিহত ইমন কে। শুধু তাই নয় নুর ইসলামের অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য তার মোটর সাইকেল ও দিয়ে দেয়া হয়েছিলো নিহত ইমন কে। বুধবার রাত দশটার দিকে নিহত ইমন কে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে বাসা থেকে ডেকে বের করে নিয়ে আসে নুর ইসলাম ও ইব্রাহিম খলিউল্লাহ। পরে রাত সোয়া দশটার দিকে স্থানীয় নাজুর চায়ের দোকানের সামনে নিহতের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে অভিযুক্তদের কথা কাটাকাটি হয়। রাতে বাসায় ফিরে না আসায় নিহতের মোবাইল ফোনে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সকাল দশটার দিকে মোবাইল ফোনে বাদী কে জানানো হয় হাজীগঞ্জ বাশমুলীস্থ আজাদ বক্সের পরিত্যক্ত বাড়ীর ভিতরে বৃস্টির পানিতে নিহতের লাশ পরে আছে।
স্থানীয় একাধিক তথ্য মতে,মাদক ব্যবসার কোন্দল কে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। নিহত ইমন তার বাবা- মায়ের সাথে থাকতোনা। তার মার অনত্র বিয়ে করলে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে। সে কারো সাথেই বসবাস করতোনা। সে নিজে মাদক বিক্রি করতো এবং নিজে মাদক সেবন করতো।
নিহত ইমন ফতুল্লা মডেল থানার হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের দেলোয়ার হোসেনের ভাড়াটিয়া।