নারায়ণগঞ্জ বন্দরে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ উপহার দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা (পিপিএম)।সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের সন্তান হয়েও নিজ উদ্যোগ এবং অর্থায়নে ইসলাম ধর্মীয় উপসনালয় চমৎকার একটি মসজিদ পুনঃ নির্মাণ করে অসাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বাদ জুম্মা সংস্কার পূর্বক সৌন্দর্য বর্ধিত দৃষ্টিনন্দন
থানা মসজিদের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল,
পিপিএম। এসময় উর্ধতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং প্রেসক্লাব
নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মুসল্লীরা জানান, প্রায় ২০ বছর আগে থানার অভ্যন্তরে মসজিদটি
নির্মান করেন তৎকালীন ওসি এএনএম গোলাম মোস্তফা এবং উদ্বোধন করেন
পুলিশ সুপার সানাউল হক। তারপর অনেক অফিসার ইনচার্জ এসেছেন, বদলী
হয়েছেন। কিন্তু নুন্যতম উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি দীর্ঘদিন যাবত অযতেœ
অবহেলায় জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা মসজিদের। অথচ থানার পুলিশ সদস্যদের
পাশাপাশি এলাকার শতাধিক মুসল্লী জুম্মা সহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এই
মসজিদে।
থানার পুলিশ সদস্যরা জানান, গতবছরের ১০ জানুয়ারি ওসি হিসেবে যোগদান
করেন দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম। যোগদানের পর থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার
পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক অফিসার হিসেবে জনসাধারণের আস্থাশীল হয়ে
ওঠেন। নিজ উদ্যোগে থানার অভ্যন্তরে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা সহ জরাজীর্ণ
অবস্থায় থাকা মসজিদের সংস্কার কাজ করেন। মুসল্লীদের জন্য ভেতরে একাধিক
উন্নত মানের এসি-সিলিং ফ্যান, সম্পূর্ণ টাইলস, আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম
ব্যবহার এবং দৃষ্টিনন্দন রঙ এবং আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে মসজিদটি।
এছাড়া পর্যাপ্ত পানির সুবিধা সহ মুসল্লীদের জন্য অজুর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. শাহ আলী মোহাম্মদ পিন্টু ধন্যবাদ জানিয়ে
বলেন, পূণরায় সংস্কারের মাধ্যমে থানার অভ্যন্তরে সুন্দর একটা মসজিদ উপহার
দিয়েছেন থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও এমন
একটা মহৎ কাজের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
জুম্মার নামাজ আদায় শেষে উদ্বোধনের পর পুলিশ সুপার রাসেল সাংবাদিকদের
বলেন, ওসি দীপক চন্দ্র সাহা (পিপিএম) নিজ উদ্যোগে চমৎকার একটা মসজিদ
উপহার দিয়ে খুবই উদারতা এবং প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। তার এই মহৎ কাজের
জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ওসি দীপক চন্দ্র সাহা (পিপিএম) এ প্রতিবেদককে বলেন, পবিত্র উপসনালয় মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধিত করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আরও বেশি সুন্দর করতে পারলে বেশি ভালো লাগত।