সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। তবে অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানের কারনে মহাসড়ক কিম্বা ফুটপাতে তেমন কোনো দোকানপাট না থাকায় সড়কের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার ও নির্মনাধীন যাত্রী ছাউনিকে দখলমুক্ত করা হয় অভিযানে। এছাড়া লোক দেখানো কিছু দোকানপাট উচ্ছে করলেও বহাল
তবিয়তে রয়েছে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা। ফলে সওজের উচ্ছেদ
অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন ভোক্তভূগীরা।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান চালায় সওজ কর্তৃপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুকের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী নূর আলম, জাহিদুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর কাদের জিলানী, কাঁচপুর
হাইওয়ে থানার ওসি নবীর হোসেন ও শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একে এম শরফুদ্দিন।
ফুটপাত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনার আশপাশে যেসব ময়লা আবর্জনা ছিল তা সরিয়ে নিরিহদের ভাসমান দোকানপাট ভাঙা হয়েছে। তাদের অভিযান দেখে মনে হচ্ছে প্রভাবশালীদের স্থাপনার সামনের ময়লা পরিস্কার করে তাদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
সওজের প্রকৌশলী নূর আলম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। তাই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, কাঁচপুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।