সোনারগাঁয়ে মা ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।
শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ববগঞ্জ এলাকায় হাজী শহিদুল্লাহ প্লাজার সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, নিহত সুফিয়া বেগমের ভাই হযরত আলী, মো. শহীদ মিয়া, বোন সুরিয়া আক্তার, শিউলি বেগম, ভাগিনা সুমন মিয়া, কাউসার প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বোন ও ভাগিনাকে পুড়িয়ে হত্যার করেছে বলে দাবি করেন বক্তরা।
মানবন্ধন কর্মসূচীতে বক্তরা দাবি করেন, নিহত সুফিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী একাধিক বিয়ে করেছেন। সুফিয়া তার প্রথম স্ত্রী। তার সংসারে তিনজন সন্তান রয়েছে। তৃতীয় স্ত্রী জায়েদাকে সংসারে আনার জন্য বিভিন্ন সময়ে সুফিয়া বেগম ও তার সন্তানদের নির্যাতন করতো। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল।
মানববন্ধনে তাদের দাবি, পারিবারিক দ্বন্ধ ও পরকিয়ার জেরে গত ৮ই অক্টোবর শনিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের নিজ বাড়িতে মোহাম্মদ আলী তার ছেলে শান্ত ও সুফিয়া বেগমকে অকটেন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় মা ও ছেলে অগ্নিদ্বগ্ধ হন।
পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ছেলে শান্ত ও গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মা সুফিয়া বেগম মারা যান। এদিকে অগ্নিদগ্ধ সুফিয়া বেগম মৃত্যুর আগে অগ্নিদগ্ধে জড়িতদের
নাম প্রকাশের একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এতে সুফিয়া বেগম তার স্বামী মোহাম্মদ আলী, সতিন জায়েদা বেগম, জায়েদা বেগমের বোন জামাই মুজিবুর রহমান, বোন হাসিনা, মোস্তফা, হামিদা বেগম ও রাবেয়া নামের ব্যক্তিদের দায়ী করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে ইতোপূর্বে একটি মামলা হয়েছে। হত্যাকান্ড প্রমাণিত হলে সেই মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।