সিদ্ধিরগঞ্জ এক জামায়াত শিবিরের নাম রাশেদুল ফয়সাল। একাধিকবার
গণপিটুনি, জামায়াত শিবির ও চাঁদাবাজি মামলায় কারাবাস করেও শিক্ষা হয়নি তাঁর। একেক সময় একেক পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে ব্লাকমেইলিং করা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাঁর লাগামহীন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানা এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এলাকার কারখানার মালিকরা।
জানাগেছে, অশিক্ষিত রাশেদুল ফয়সাল নিজেকে কখনো পুলিশের সোর্স, পতিতা নিয়ে যৌন কাজে লিপ্ত, পতিতা ব্যাবসা, জামাত শিবির ও কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এই ফয়সাল সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁও, কাঁচপুর শিমরাইল মোড় ও রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় মারধরের শিকার হয়েছেন তিনি।
গত ২০১৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর মাদ্রাসা ও সাইনবোর্ড এলাকায় দেশ বিরোধী আন্দোলন এবং নাশকতায় জালাও পোড়াও কালে আওয়ামী নেতাকর্মী ও পুলিশের হাতে গণপিটুনি খেয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন ফয়সালকে। পরে পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। ওই মামলায় ফয়সাল দীর্ঘদিন ধরে জেল হাজতে ছিলেন। মামলাটি চলমান থাকলেও জামিনে বের হয়ে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। সে এতটাই বেপরোয়া যেন নারায়ণগঞ্জ জেলার এলাকায় সরকারি জায়গায় ফুটপাত বসানোর অনুমতি না দেওয়ায় চিটাগাংরোড হাইওয়ে পুলিশ বক্স এক ওসিকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে।
এখনো বর্তমানে ফয়সালের চিটাগাংরোড পুলিশ বক্সের পাশে কয়েকটি অবৈধ দোকান বিদ্যমান রয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কারখানা মালিক অভিযোগ করে বলেন, ফয়সালের দাবিকৃত চাঁদা দিতে রাজি না হলে সে র্যাব ও পুলিশ দিয়ে কারখানায় অভিযান চালানোর ভয় দেখায়। কারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাঁর এসব কর্মকান্ড ও হুমকি ধমকিতে চিটাগাংরোড, কাঁচপুর, মদনপুর, মোগড়াপাড়া,
তারাব বিশ্বরোড, মোড়াপাড়া ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও কারখানার মালিকরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন তাঁর জন্য।
এবিষয়ে রাশেদুল ফয়সালকে তাঁর নিজস্ব মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও, তিনি মোবাইল ফোনে দায়িত্ববোধ গ্রহণ করেননি।