নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান চন্দন শীল বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুব আনন্দঘন ও উৎসবমুখর ছিল। এটা প্রত্যাশা করি ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সবাই সে অধিকার প্রয়োগ করেছেন শান্তিপূর্ণভাবে। ভোটারদের পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীরা ছিল কেন্দ্রে কেন্দ্রে। কোথাও কোন বাজে সংবাদ পাইনি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে তিনি একথা জানান। এর আগে তিনি কমর আলী স্কুলকেন্দ্র ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন কেন্দ্রের খোঁজ খবর নেন।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ায় প্রথমে আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি ও পরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নেত্রী বলেছিলেন তৃণমূলের নেতাদের ত্যাগী মূল্যায়ন করা হবে, তিনি তা করেছেন। হাইব্রিডদের ভিড়ে এখন তৃণমূলরা সামনে আসতে পারেনা তবে নেত্রী বলেছিলেন তাদের সামনে আনবেন তিনি এনেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার তো মনোনয়ন কেনার মত অবস্থাও নেই। নেত্রী বলেছেন আমার ত্যাগী নেতারা যদি গরীব হয়, এক টাকাও যদি না থাকে তাদেরকে মনোনয়ন দেব, নেতৃত্ব দেব এবং তাদেরকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো। অনেকে আমাদের এসব নিয়ে বলতো এগুলো স্ট্যান্ডবাজি, তবে নেত্রী কথা রেখেছেন দেখিয়ে দিয়েছেন এসব স্ট্যান্ডবাজি নয়।
জেলা পরিষদ জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে যাবে, আমরা নিয়ে যাবে। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে আমরা এক হয়ে কাজ করবো। কোন ধরনের লোভ লালসা যেন আমাকে বিপথে পরিচালিত না করেন সেজন্য আমি সকলের দোয়া চাই।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি নেত্রী মনোনয়ন দেয়ায় আমার প্রতি সম্মান জানিয়ে যারা নির্বাচনে আসেননি তাদেরকেও আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার চেয়ে অনেক যোগ্য প্রার্থী ছিলেন তবে তারা নির্বাচন করেননি আমার প্রতি সম্মান রেখে। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই ফলাফল যাই হোক আমরা সেই ফলাফল স্বাগত জানাব, মাথা পেতে নেব। সবাই মিলে আমরা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবো।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ। এদিন কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনায় সংবাদ পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান পদে মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়াও দুটি সাধারণ সদস্য পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন দুজন। চেয়ারম্যান ব্যতীত ৫টি সাধারণ সদস্য ও ২টি সংরক্ষিত নারী সদস্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ গঠিত হয়। নির্বাচনে ৫ টি সদস্য পদের জন্য লড়াই করছেন ১৯ জন প্রার্থী।
মোট ভোটার ৬১০ জন জনপ্রতিনিধি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা এ নির্বাচনের ভোটার।
১ সেপ্টেম্বর ঘোষিত জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আজ ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের ৫টি ভোট কেন্দ্রে ১০টি ভোট কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।