আগামী ২০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফল করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি মূলক সভার আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বাদ মাগবির নগরীর উকিলপারা এলাকায় এই প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এ প্রস্তুতি মূলক সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ,
সাবেক সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাষ্টার, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম,
মহানগর বিএনপি নেতা আনোয়ার মাহমুদ বকুল, মোহাম্মদ হোসেন কাজল, সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর, জেলা মৎসজীবি দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম আমিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিক হিসেবে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথে আছি। আগামী ২০ অক্টোবর আমাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে রাপথে থাকার জন্য। তাই আপনাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে সেই দিনের কর্মসূচি সফল করতে হবে। সেই সাথে আমি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের আহবান করবো রাজপথের তৃণমূল নেতাদের দিয়ে কমিটি করতে হলে সম্মেলনের কোন বিকল্প নাই। তাই প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কমিটি দিতে হলে সম্মেলনের মাধ্যমেই দিতে হবে।
আমরা চেষ্টা করেছিলাম সেই ভাবে কাজ করার জন্য কিন্তু একটি পক্ষ বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করার জন্য ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে, বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জাফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই সম্মেলন ও কমিটি করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। বড় লজ্জা লাগে আজকে তারাই রাতের আধারে কমিটি নিয়ে আসে এবং মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব দিতে চায়। ঢাকা বিভাগীয় টিমের প্রধান এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ আমাদের না জানিয়ে কিভাবে কমিটি দিয়েছে সেটা কতটুকু যৌক্তিক তা আমাদের জানা নাই।
আমি আগেই বলেছি জিয়ার সৈনিকদের কাগজের কমিটির দরকার নাই। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে নেমেছি, আর কারা বেশি সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী তা নারায়ণগঞ্জ বাসী ভাল জানে। তাই সেই বিষয় আমাদের কোন বক্তব্য নাই। সিদ্ধান্ত নিবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথে থেকে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো।
সেই সাথে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ও দেশনেত্রীর মুক্তি ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। যাতে করে বাঙ্গালী জাতি আবারো তাদের গণতান্ত্রিক স্বাদ নিতে পারে। আপনাদেরকে আহবান করবো ৬ অক্টোবর যেভাবে জনসমুদ্রে আমাদের র্যালীকে রুপান্তরিত করে ছিলেন। ঠিক একই ভাবে ২০ অক্টোবরের কর্মসূচি সফল করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাজী নুরুউদ্দিন বলেন, বড় দু:খ লাগে যাদের হাত দরে নারায়ণঞ্জে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হলো তাদের না জানিয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে মুন্সিগঞ্জের একজন ও চাঁদপুরের একজনকে মহানগর বিএনপির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই কমিটি যে ওসমান পরিবারের প্রেসক্রিপশনে হয়েছে সেটা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি জানে। তাদের কোন কর্মী বাহিনী নাই, ওয়ার্ডের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা নাই, ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে বিএনপির রাজনীতি করে। আর যাই হউক তাদের পিছনে জিয়ার সৈনিকরা কখনই রাজনীতি করবে না।
ক্ষমতাশীনরা বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য এই পায়তারা করছে। আর ফ্রিডম পার্টি ও বিএনএফ থেকে বিএনপিতে আসা নেতারা ক্ষমতাশীনদের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করবে এটাই স্বাভাবিক। কারন জিয়ার সৈনিকদের দিয়ে আর যাই হউক প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন হবে না।
তারা কয়দিন হাওলাদ করা কর্মী দিয়ে বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে আর সংগঠন চালাবে। তারা রুপগঞ্জ, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, ফতুল্লার উপর নির্ভর করে কয়দিন মহানগর বিএনপির রাজনীতি করবে সেটা আমরা দেখতে থাকি। যাই হউক আগামী ২০ অক্টোবর কর্মসূচি সফল করার জন্য আপনারা যার যার অবস্থান থেকে বিকেল ৩ টায় মন্ডলপারা এলাকায় উপস্থিত হবেন আমি সেই আহবান করছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম মিঠু, আবুল কালাম আজাদ, নুর আলম, আবুল হোসেন সরদার, সালাউদ্দিন দেওয়ান,
মহানগর হর্কাস শ্রমিক দলের সভাপতি সাজাহান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।