নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন এক নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী আছিয়া খানম সুমি। তিনি আওয়ামী মহিলা লীগের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। ভোটে পরাজিত হওয়ার জন্য তিনি দলীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকেও দোষারোপ করেন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর দেওভোগে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভোটারদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ভোটারদের ভোটে পরাজিত হইনি। আমাকে ওসমান পরিবারের দুই ভাই শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান হাতে ধরে পরাজিত করেছেন। ভোটে কারচুপির মাধ্যমে অযৌক্তিক একটা ফলাফল আমার হাতে তুলে দিয়েছে।
‘সারা বাংলাদেশে উনি (শামীম ওসমান) নাকি আইডল। আমার মতো সাধারণ নেত্রী যে কখনও তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেই নাই, তাহলে আমাকে নিয়ে খেলাটা কেন খেললো? নির্বাচন এমন করবো আগে বললেই তো আমি নির্বাচনে অংশ নিতাম না।
ফলাফল অনুযায়ী এক নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী যুব মহিলা লীগের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাদিয়া আফরিন ১২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানির স্ত্রী এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর কন্যা। সায়ায়েত আলম সানি ও শওকত আলী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী।
ভোটগ্রহণের দিনও দুই সাংসদের নির্দেশনায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরাজিত এই প্রার্থী বলেন, ‘৯০টা ভোটার আমার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। ৯০টা না পাইলেও ৩০টা ভোটও তো পাইতাম। যেই ফলাফল আমারে দিতে সেইটা স্বচ্ছ না। এইখানে কারচুপি হইছে।
দুই সাংসদের কথায় নির্বাচন অফিসাররাও এই কারচুপিতে যুক্ত। ভোটের দিন আমার ছেলে নিজ কানে শুনেছে, একজন অফিসার বলছে, ১০২টা ভোট হওয়ার পর মেমোরি কার্ড পরিবর্তন করে ফেলবেন। মেমোরি কার্ড কেন পরিবর্তন করতে হবে? ডিসি স্যার (রিটার্নিং কর্মকর্তা) প্রার্থীদের নিয়ে সভায় বলছিলেন, কেন্দ্রে সাংবাদিকও ঢুকতে পারবে না। অথচ পুরো কেন্দ্রভর্তি শামীম ওসমানের অনুসারী নেতা-কর্মীরা ছিল। কেন্দ্রগুলো সব শামীম ওসমানের লোকজনের দখলে ছিল। বারবার এই কথা বলার পরও পুলিশের কোন সদস্য কিছু বলে নাই।