নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাদের কর্মসূচীতে এসে বিব্রত হয়েছেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ। দলের মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার পর তাদের প্রথম কোন কর্মসূচীতে এসেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সারাদেশে নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা দায়ের, জামিন বাতিল করে নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ, পুলিশি হামলা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় এ নেতাকে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত দেয়া হলেও এতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা।
শহীদ মিনারে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, আব্দুস সালাম আসবেন জেনেও নেতাকর্মীরা আসেননি। এর আগে মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছিলেন আব্দুস সালাম। তার ৪১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটী ঘোষণার পর কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন ১৫ জন নেতা। এ ছাড়াও কমিটির আরো অন্তত ১০ জন অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এহেন অবস্থায় বাদ পড়া ও পদত্যাগী নেতারা আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন। আজও তারা কর্মসূচী পালন করেছেন আলাদা। তাদের কর্মসূচী নগরীর মন্ডলপাড়া এলাকায় পালিত হয়। সেখানে উপস্থিতি ছিল ব্যাপক নেতাকর্মীর। অপরদিকে শহীদ মিনারে আব্দুস সালাম নিজেই দেখেছেন পুরো শহীদ মিনারে রাখাঁ চেয়ারগুলোও নেতাকর্মীরা পূর্ণ করতে পারেনি। এ নিয়ে বিব্রত সালামকে কিছুটা হতাশ মনে হয়েছে সভামঞ্চে।
এদিকে শহীদ মিনারে মহানগর বিএনপির নেতারা না আসায় আয়োজকরা দ্রুত জেলার নেতাদের এখানে নেতাকর্মী নিয়ে আসতে দাওয়াত দেন। কিন্তু একই সময়ে খানিক দূরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পালিত হচ্ছিল জেলার বিক্ষোভ সমাবেশ। এর মধ্যেই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে কর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারের সমাবেশে যোগ দিতে। তাদের আসার পরও খালি ছিল শহীদ মিনার।
অপরদিকে জেলার দুজন নেতাসহ নেতাকর্মীদের দিয়েও সমাবেশ ফ্লপ হওয়ায় মহানগর বিএনপির শক্তি নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।