আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ ঘারমোড়া এলাকায় কর্মী সভার আয়োজন করে মহানগর বিএনপির একাংশ। কর্মী সভা সফল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করলে বিকেলে বন্দর থানা পুলিশ সেখানে বাধা সৃষ্টি করে।
পরে সভাস্থল থেকে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এসময়ে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের সাথে পুলিশের বাকবিন্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে নেতা ও কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে সভাস্থল ত্যাগ করে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বাদ আছর কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ ঘারমোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বাদ মাগবির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঘারমোড়া এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিনের সভাপতিতে ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।
এসময়ে আতাউর রহমান মুকুল তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আজকে ঘরোয়া ভাবে আলোচনা করার কথা ছিলো আমরা সেই ভাবে ব্যবস্থা করে ছিলাম। কিন্তু সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি হওয়ায় সেটা সমাবেশে পরিনত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন আমাদের বাধা দিয়েছে এখানে কোন সমাবেশ চলবে না। আমরা সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী না পুলিশের বাধার কারনে সবাই জেনে গেছে আমরা এখানে কেন এসেছি।
হয়তোবা সভাটি হলে অনেক নেতাকর্মীরা ভাল বক্তব্য দিতে পারতেন সেটা হয়নি। আমরা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের আহবান করবো আপনারা ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ সফল করার জন্য ঢাকা যাবেন। আর সেই সাথে আমাদের এই সভায় বাধা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমাদের আজকের এই কর্মী সভা ছিলো আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ কিভাবে সফল করা যায় এবং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা কিভাবে সেখানে যাবে সেই বিষয় নিয়ে। কিন্তু সেই কর্মী সভা করতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। যতই বাধা আসুক বাস, ট্রাক সব বন্দ করে দিলেও আমরা পায়ে হেটে সমাবেশে উপস্থিত হবো। কোন বাধাই আমাদের থামিয়ে রাখতে পারবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইসমাই মাস্টার, সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মতিন, সাবেক শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেজবা উদ্দিন স্বপন, নগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, মহানগর বিএনপি নেতা ও ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ,মহানগর বিএনপি নেতা, এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, আবুল হোসেন সরদার, আল-মামুন, পনির হোসেন, সাফী, হাবিবুর রহমান, নাছির, মামুদুর রহমান মাসুম, ফরিদ আহম্মেদ, পনেজ, মাহবুবুর রহমান মফিজ,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, হুমায়ুন মোল্লা, জেলা মৎসজীবি দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার সাহ সহ বিভিন্ন থানা ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।