ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় লন্ডভন্ড হয়েছে। এ ঝড়ে প্রভাবের কারনে সদর ও বন্দরবাসীর জীবন যাত্রায় মারাত্বক ভাবে বির্পযস্ত হয়ে পরেছে । গত ২ দিনের প্রচুর বর্ষন ও প্রচন্ড ঝড় বাতাসের কারনে সদর ও বন্দরে বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ী, বড় বড় গাছপালা, বৈদুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা উপরে পরেছে। এ ছাড়াও ঘুর্ণিঝড় চিত্রাংয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ডিয়ারা, শহিদনগর, গোগনগর, আলীরটেক, বক্তাবলীতে সহ বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের জড়োয়া হাওয়ায় গাছ-পালা ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
এবিষয়ে সাংবাদিক জুম্মন সোহেল জানান,ঝড়ের সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। ফোন পেয়ে বাড়িতে ছুটে যাই।এসে দেখি বিশাল বড় গাছ উপরে পরে। এবং ঘরের অনেক ক্ষতি হয়। এর সাথে আমার চাচার ঘরের চাল ভেঙ্গে পড়ে। ক্ষতির পরিমান ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া আমাদের শহিদনগর, ডিয়ারা সহ গোগনগরে বিভিন্ন এলাকাতে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতি গ্রহস্থ হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর মাহমুদনগর এলাকা জনৈক রিপন জানান, ঘুনিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে মাহমুদনগর এলাকায় একটি বৈদুতিক খুঁটি উপরে পরেছে। এ ছাড়াও সোনাকান্দা মেরিন টেকনোলজিতে একটি বিশাল আকৃতি গাছ প্রচন্ড ঝড়েরর কবলে পরে উপরে পরেছে। এ ছাড়াও বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘারমোড়া এলাকার বাসিন্দা শ্যামল জানান, ভারি বর্ষনের কারনে বন্দর উপজেলার শুভকরদী, ঘারমোড়া ও চরঘারমোড়াসহ কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রধান রাস্তা ঘাট ও নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে প্রচন্ড জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা চরম আকাড় ধারন করেছে। উল্লেখিত এলাকার অনেক মানুষ বর্তমানে পানিবন্ধী জীবন যাপন করছে। সে সাথে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পরেছে। বিদুৎত খুঁটি হেলে পরার কারনে উক্ত এলাকার জনগন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় প্রানহানীর আশংকা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও এবারের বর্ষায় ও অতিরক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন, মুছাপুর, ধামগড় ও মদনপুরসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকার রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।