বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পুরান বন্দর ইউনিয়নস্থ মরহুম ছোবহান মোল্লা সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বন্দর ইউনিয়ন চৌধুরী বাড়ি এলাকাবাসীর। একটু বৃষ্টি হলেই জলাশয়
সৃষ্টি হয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয় পথচারীদের। মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তি হলেও সংস্কারের বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার বলেও কোন সমাধান পায়নি বলে তারা জানিয়েছেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে বন্দর উপজেলার পুরান বন্দর ইউনিয়নস্থ মরহুম ছোবহান মোল্লা সড়কটিতে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের চৌধুরীবাড়ি মরহুম ছোবহান মোল্লা সড়কটিতে ১হাজার মানুষের চলাচলের একটি
সড়ক। সকাল হতে রাত পর্যন্ত মানুষ চলাচল করে থাকে। ২বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ সড়কটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি। অথচ বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে এই চৌধুরীবাড়ি এলাকাটি জনবহুল ব্যস্ততম সড়ক। এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে সড়কটি যা চোখে পড়ার
মতো।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা বর্তমান চেয়ারম্যান ২বারের ক্ষমতায় হয়ত রাস্তাটি এবার দ্রæত ঠিক করে দিবে।
কিন্তুএবারের নির্বাচনে পূণরায় জয়ী হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহনের প্রায় বছর শেষের দিকে হলেও তিনিও নেননি কোন উদ্যোগ। অতি প্রাচীণ এই সড়কটি দিয়ে চলাচলে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবী, যেহেতু অতি প্রাচীণ রাস্তাটি বর্তমানে নাকাল অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে জলাশয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তাই অতি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা প্রয়োজন।
দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
অথচ সড়কটিতে চলাচলের সাধারন মানুষের যেন ভোগান্তির অন্ত নাই। একটু বৃষ্টি হলেই ছোট ছোট বন্যায় পরিনত হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় মানুষের বাড়িতে পানি তলিয়ে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে
যায়। ফলে ১হাজার পরিবার পানিবন্ধী হয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনৈক বলেন,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গা রাস্তা সংষ্কার করার হিরিক পড়ে। অথচ নির্বাচনের পর এই এলাকার কোন খবরও নেননা।
চেয়ারম্যানের ধারনা এই এলাকার মানুষ তাকে ভোট দেয় নাই। তাই তিনি এই এলাকার রাস্তার প্রতি তেমন নজর নাই। এই সড়কটির কথা একাধিকবার বলেও কোন সাড়া পাওয়া যায় নাই। তাই স্থানীয়রা এই
সড়কটির চরম ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে এমপি সেলিম ওসমানের দৃষ্টি কামনা করছে।