আড়াইহাজার উপজেলা প্রশাসন দখলের দীর্ঘদিন পর মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী গ্রামে দখল হয়ে যাওয়া ৯০ শতাংস খাস জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন।
গ্রামবাসীর দখলে থাকা উক্ত জমির মূল্য ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৮ টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক ও আড়াইহাজার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পান্না আক্তার এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয় ।
তাছাড়া সহকারী পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ ‘গ’ অঞ্চল পুলিশী ব্যবস্থার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী
মৌজায় আরএস ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত আরএস এর তিনটি দাগে (দাগ নং-২৯,৬২ ও ৬৩) সরকারের মোট ৯০ শতাংস খাসজমি রয়েছে। বিগত পাঁচ দশকে সরকারি এই খাসজমি গ্রামবাসী দখল করে যে যার
সুবিধামত বাড়িঘর, পাওয়ারলুম কারখানা ও দোকানপাট গড়ে তুলেছে।
এদিকে, আড়াইহাজার উপজেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়ার জন্য খাসজমি পাচ্ছিল না। অনেক তত্ব-তালাশের পর শ্রীনিবাসদী গ্রামে ৯০ শতাংস সরকারি খাসজমির সন্ধান মিলে।
উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘদিন এই বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যের এই জমি উদ্ধারের জন্য শেষাবধি জেলা প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়। জেলা
প্রশাসন খোঁজ খবর নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে এই জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়।
শুক্রবার সকালে উচ্ছেদ টিম ও ভেকু গাড়ি শ্রীনিবাসদী গ্রামে গেলে গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও সরকারি খাসজমি উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযানকে সমর্থন জানায়।
জানাগেছে, শ্রীনিবাসদী গ্রামে উচ্ছেদ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছে আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার, ২ জন এসআই, ৩ জন এএসআই, ১ জন নায়েক, ১০ জন কনস্টেবল
(রায়টফরমেটেশন), ৩ জন নারী কনস্টেবল ও সাদা পোষাকের পুলিশ সদস্য।
আড়াইহাজার থানার ওসি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্স থেকে আগত অফিসার ও কনস্টেবল এবং আড়াইহাজার থানার ফোর্স নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান
চলাকালে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।